চালকের আসনে শিশু, সেই গাড়ির ধাক্কায় আহত আরেক শিশু

রাজধানীর সড়কে আইন ভেঙে এক স্কুলছাত্রের ঝুঁকিপূর্ণ গাড়িচালনায় আহত হয়েছে আরেকটি শিশু।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2017, 04:24 PM
Updated : 23 May 2017, 04:43 PM

মঙ্গলবার সকালে ধানমণ্ডির শঙ্কর বাসস্ট্যান্ডে এই দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর বাবাও আহত হয়েছেন।

আহতদের কেউ থানায় আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ না জানালেও মটরযান আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই ঘটনায় জরিমানা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

নিয়ম ভেঙে গাড়ি চালানো ওই শিশুটি লালমাটিয়ার একাডেমিয়া স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র, বয়স ১১ বছর। তার বাবা আনোয়ার হোসেন একজন তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী।

আহত শিক্ষার্থীটি ধানমণ্ডিরই নালন্দা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে ও তার বাবা কাছের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তাদের অবস্থা গুরুতর নয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল পৌনে ৮টার দিকে শঙ্কর বাস স্ট্যান্ডে রাস্তা পার হওয়ার সময় নালন্দা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও তার বাবাকে ধাক্কা দেয় একটি নোয়া মাইক্রোবাস।

সঙ্গে থাকা ওই ছাত্রীর মায়ের চিৎকারে আশপাশের সবাই ছুটে যায় এবং মাইক্রোবাসে থাকা চালককে ধরে ফেলে। চালকের আসনে থাকা শিশুটি নেমে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকেও আটকায় স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শী আবেদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিশুটিকে মারধর না করে তার কাছে বাবার পরিচয় জানতে চাইলে সে বলে যে সে ‘জানে না’। গাড়ি দিয়ে পথচারীকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনাটিকে সে বলে যে ‘সামান্য’ ঘটনা।”

এরপর পুলিশ গিয়ে গাড়িটিসহ এর চালক ও শিশুটিকে ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে যায়। এর মধ্যে চালকের আসনে থাকা শিশুটির বাবা আনোয়ার ঘটনাস্থলে যান।

ধানমণ্ডি থানার এসআই আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুই পক্ষকে থানায় নেওয়া হয় এবং দুর্ঘটনায় আহতদের অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়।

“তবে থানায় দুই পক্ষ দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে। চালক শিশুটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে তার ভবিষ্যত জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভেবে আহতরা অভিযোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকে।”

বাংলাদেশের আইনে ১৮ বছরের নিচে কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারে না।

এই ঘটনার উভয় পক্ষ পূর্ব পরিচিত বলেও জানান এসআই আলমগীর।

তিনি বলেন, “দুর্ঘটনার বিষয়ে তারা কোনো অভিযোগ দেবে না জানালে ট্রাফিক পুলিশ ডেকে মোটরযান আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ, সিগন্যাল অমান্য করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ গাড়ি চালানোর অভিযোগে গাড়ির মালিক পক্ষকে জরিমানা করা হয়। জরিমানা দিয়ে তারা গাড়ি নিয়ে একসাথে বের হয়ে যায়।”