সোমবার সচিবালয়ে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে প্রাক বাজেট আলোচনায় এ আশ্বাস দেন তিনি।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তত একটি করে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করতে বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের সুপারিশ করে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম।
এ সেন্টার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক উচ্চতর গবেষণা কার্যক্রম, সেবা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “এটি একটি ভালো প্রস্তাব, এটি একটি ভালো কাজ হবে, রিসোর্স সেন্টারগুলোতে ফিজক্যালি কিছু না দিতে পারলেও অ্যাডভাইস দিতে পারবে, আমাদের বিভাগীয় শহরে এ ধরনের রিসোর্স সেন্টার করতে বাজেট বরাদ্দ করে দিতে পারি।”
বাংলাদেশে প্রায় ১৬ লাখ প্রতিবন্ধী রয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
২০১৭-১৮ সালের বাজেটে দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ১৪টি মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচিতে ৬ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানায় জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম।
অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরে সংগঠনটি।
প্রতিবন্ধী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু এই সংগঠনের নেতাদের নিয়ে মন্ত্রীর কাছে যান।
মতিন খসরু বলেন, সম্মান ও সম মর্যাদার ভিত্তিতে প্রতিবন্ধীরা বাঁচতে চায়। এজন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
চলতি অর্থবছরে মাসিক ৬০০ টাকা ভাতা হিসেবে ৭ লাখ ৫০ হাজার অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য ৫৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।
আগামী অর্থবছরে মাসে ২ হাজার করে ১৫ লাখ প্রতিবন্ধীর ভাতা হিসেবে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয় বৈঠকে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “সহায়তা প্রতিবছরই বাড়ানো হয়, তবে আমাদের লক্ষ্য থাকে সহায়তার পরিমাণ না বাড়িয়ে সহায়তা যারা পাচ্ছে তাদের সংখ্যা বাড়াতে।”
প্রতিবন্ধীদের জন্য কর্মজীবী হোস্টেলগুলোতে সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যাংকগুলোতে ঋণের কোঠা নির্ধারণের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা চিন্তা করার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।