ওই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৫ জনের রিট আবেদন শুনে সোমবার হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মনিরুজ্জামান।
গত ২১ এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর ইডেন কলেজ, লালমাটিয়া কলেজ ও সেন্ট্রাল রোডের আইডিয়াল কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে।
২০১৬ সালের ১০ মার্চ ৮৩৪টি সিনিয়র অফিসার পদের বিপরীতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। এই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।
গত ২৪ মার্চ সকাল ও বিকালে প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষায় আড়াই লাখ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ১৫০ জন। পরে ২১ এপ্রিল নয় হাজার ৪০০ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।
এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অতল করসহ ১৫ জন প্রার্থী প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে হাই কোর্টে রিট করেন।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমের কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সত্যি নয় বলে দাবি করেছিলেন।
রিটকারীদের আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশের পাশাপাশি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে ও পরীক্ষার ফলাফল বাতিলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।