স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধী ত্রিদিব রায়ের নাম মোছার নির্দেশ

পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িসহ দেশের সকল স্থাপনা থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের নাম ৯০ দিনের মধ্যে মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2017, 09:11 AM
Updated : 22 May 2017, 09:13 AM

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেয়।

দেশের সকল স্থাপনা থেকে ত্রিদিব রায়ের নাম মুছে ফেলতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, শিক্ষা সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও মেয়রকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বদিউজ্জামান সওদাগর ও হেলাল উদ্দিন নামে খাগড়াছড়ির দুই বাসিন্দা রোববার হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন।

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানির করেন আইনজীবী শরিফ আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

শরিফ আহমেদ পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একাত্তরে রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা পালন করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে, বিশেষ করে খাগড়াছড়ি এলাকায় তিনি স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধের পরপরই তিনি পাকিস্তানে পালিয়ে যান। পরে আর্জেন্টিনায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা ভোগ করেন।”

এই আইনজীবী বলেন, ত্রিদিব রায়ের নামে খাগড়াছড়িতে এলাকা, সড়ক ও স্কুল রয়েছে (ত্রিদিবনগর, ত্রিদিবনগর সড়ক, ত্রিদিবনগর হাইস্কুল)। যেসব স্থাপনা থেকে তার নাম মুছে ফেলতে অথবা নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।  

২০১২ সালে পাকিস্তানে মারা যাওয়া চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের বিরুদ্ধে একাত্তরে রাঙামাটিতে গণহত্যায় সহযোগিতারও অভিযোগ রয়েছে।

ওই সময় রাঙামাটি মুক্ত করতে যাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র ইফতেখারসহ একদল মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়।