শুক্রবার ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত পঞ্চম আন্তর্জাতিক গণহত্যা সম্মেলনের উদ্বোধনীতে একথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বিশ্বের সব মহাদেশ ও অঞ্চলে গণহত্যা প্রতিরোধ, বিচার ও গণহত্যা স্মরণে অনুষ্ঠান আয়োজনের বার্তা পৌঁছে দেওয়া দরকার।
“এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল এবং সাধারণভাবে বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ তার (পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে) বিনিয়োগ চালিয়ে যাবে; গণহত্যা ও ব্যাপক সহিংসতায় ‘নেভার, নেভার, নেভার অ্যাগেইন’, বার্তা জোরদার করা যার লক্ষ্য।”
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার।
একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর দিনটিকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের সংসদে প্রস্তাব পাসের পর হচ্ছে এবারের আন্তর্জাতিক এই জেনোসাইড কনফারেন্স, যাতে গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অংশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, “(গণহত্যায় নিহতদের) স্মরণ করা আমাদের কর্তব্য; এটা সামাজিক, নৈতিক বাধ্যবাধকতা।
“অতীতের গণহত্যা স্বীকার করা, ঘটনা পরম্পরা চিহ্নিত করা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকার নিশ্চিত করা শুধু তাদের সম্মানিত করাই নয়, এটা এ ধরনের অপরাধ যেন আর না হয় সেবিষয়ে আমাদের সদিচ্ছাও প্রকাশ করে।”
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে চলমান বিচারপ্রক্রিয়া তুলে ধরে এটি আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার ব্যব্স্থায় এক ‘নতুন আদর্শ’ প্রতিষ্ঠা করেছে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
“আজকে পুরো জাতি একটি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে যে, (একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের) মূল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে (বিচার কার্যক্রম) চলমান রয়েছে।”
বাংলাদেশের নিজস্ব আইনে করা এই বিচার প্রক্রিয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিশেষত ২০১৪ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে স্বীকৃতি দিয়ে প্রস্তাব পাসের বিষয় তুলে ধরেন মাহমুদ আলী।