ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমণ্ডি জোনের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহিল কাফী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকাল বিকেলে ওই পরিচালককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের পরিচালকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।”
মামলার আসামিরা হলেন- অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, কাশেম ইউসুফ, ডা. মর্তুজা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম মাতলুবুর রহমান, ডা. মাসুমা পারভীন, ডা. জাহানারা বেগম মোনা, ডা. মাকসুদ পারভীন ও ডা. তপন কুমার বৈরাগী ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ কাশেম।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আফিয়া জাইন চৈতীর মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, বুধবার ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাকে ক্যান্সারের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হলে তার সতীর্থরা গ্রিন রোডের বেসরকারি হাসপাতালটিতে ভাংচুরও চালিয়েছিল। এরপর রাতে মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী।
এক শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, “ডাক্তাররা আগে বলেছিল চৈতীর লিউকেমিয়া (ব্লাড ক্যান্সার) হয়েছে। সে অনুযায়ীই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন তারা বলছে, ডেঙ্গু হয়েছিল।”
তবে যার অধীনে চৈতী চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেই অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলছেন, পরীক্ষা করেই তারা লিউকোমিয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হন।
“তাকে যখন আনা হয়েছিল অবস্থা খুব খারাপ। আইসিইউতে নেওয়ার পর চিকিৎসা পুরোপুরি শুরু করার আগেই তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসায় কোনো ভুল হয়নি।”
এ হাসপাতালের পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, “কোনো হাসপাতালেই সব রোগী বাঁচানো যায় না। ওই ছাত্রীকে আনা হয়েছিল খুব খারাপ অবস্থায়। আমরা নিতে চাইনি, কিন্তু শিক্ষার্রীরা বাধ্য করেছে। আমার ধারণা আগেও সে লিউকেমিয়ার চিকিৎসা নিয়েছে কোথাও।”
চৈতীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। শামসুন্নাহার হলে সংযুক্ত এই ছাত্রী থাকতেন পলাশী এলাকায়।
সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহিল কাফী জানান, স্বজনরা ময়না তদন্ত করাতে চাননি। এ কারণে রাতেই চৈতীর লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়।