মঙ্গলবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি তাদের ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিকালে মহানগর হাকিম লস্কার সোহেল রানা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিল্লালকে ৪ দিন ও রহমতকে ৩ দিনের হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দেন বলে আদালত পুলিশের এসআই আব্দুল মান্নান জানান।
দুই আসামির পক্ষে আদালতে রিমান্ড বাতিল চান আইনজীবী শেখ হেমায়েত হোসেন মোল্লা।
এসআই মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এজলাসে দুই আসামিকে বিমর্ষ দেখা গেছে। তারা আদালতে বিচারক বা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
ধর্ষণের ঘটনায় বনানী থানায় করা ওই মামলার ৯ দিন পর সোমবার রাতে ঢাকার নবাবপুর রোডের একটি হোটেল থেকে বিল্লালকে এবং গুলশান থেকে রহমতকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
এর পাঁচ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে মামলার আসামি সাদমান শাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাদমান পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে।
মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে নাঈম আশরাফ বা হাসান মোহাম্মদ হালিম এখনও পলাতক।
এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সাফাত ও নাঈম দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিলেন। অন্য তিন জন ছিলেন সহায়তাকারী।
অভিযোগকারী তরুণীদের একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, পীড়াপীড়িতে বাধ্য হয়ে ২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তারা, তাদের নিতে গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন সাফাতের গাড়িচালক ও দেহরক্ষী।
ধর্ষণের সময় দেহরক্ষী রহমতকে দিয়ে ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন ওই তরুণী।