সাঈদীর রিভিউর রায়ে জনগণ ‘ক্ষুব্ধ-হতাশ’: ইমরান

যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের যে রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ দিয়েছিল, পুনর্বিবেচনায় তাতে কোনো পরিবর্তন না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2017, 10:52 AM
Updated : 15 May 2017, 11:56 AM

সোমবার এক বিবৃতি মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর মামলার রিভিউতে সর্বোচ্চ শাস্তির বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ে জনগণ ক্ষুব্ধ এবং হতাশ।”

এই রায়ে জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি বলে মনে করেন তিনি।

সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের যে রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ দিয়েছিল,তা পুনর্বিবেচনার আবেদনে খালাস চেয়য়েছিলেন একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বহাল চেয়েছিল।

দুই দিন শুনানি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ দুটি রিভিউ আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে।

এর ফলে সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ই বহাল থাকে।

বিবৃতিতে ইমরান বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর মতো নৃশংস মানবতাবিরোধী অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তিই প্রাপ্য ছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়েও এই যুদ্ধাপরাধীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছিল।

“আপিল বিভাগের রায়ে যখন সাইদীর ট্রাইব্যুনালের দেয়া সর্বোচ্চ শাস্তির রায় পরিবর্তন করে সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়, এর প্রতিবাদে রাজপথে অবস্থান নেয় মঞ্চ। কিন্তু সেদিন মঞ্চের উপর সরকারের নির্লজ্জ আক্রমণ যুদ্ধাপরাধীদের সাথে সরকারের আপোষকামীতার মনোভাব স্পষ্ট করে দেয়।”

মামলা পরিচালনায় সরকারের দায়িত্বহীনতা এবং অবহেলার কারণেই একাত্তরের নির্যাতিত মানুষেরা যথোপযুক্ত বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে মনে করে ইমরান।

এর আগে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের ক্ষেত্রেও সরকার আপস ও দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ ইমরানের।

“বয়সের অজুহাতে তার শাস্তি কমিয়ে দেয়ার পর তাকে রাজকীয় হালে সরকারি খরচে প্রতিপালন করা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ভিআইপি মর্যাদায় কারাগারে রেখেছে সরকার। যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াত এবং শাস্তিপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সাথে সরকারের এই আপসকামীতায় জনগণ ক্ষুব্ধ, মর্মাহত।”

সাইদীকে গোলাম আযমের মতো সুযোগ সুবিধা না দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, “জনগণের দাবির প্রতি সরকারের বারবার বিশ্বাসঘাতকতা কোনো শুভ ফল বয়ে আনবে না। তাই আপসকামিতা পরিহার করে যুদ্ধাপরাধের বিচারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া এবং দ্রুত যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াত- শিবির নিষিদ্ধেরও দাবি জানাচ্ছি।”