আদালতের আদেশেও কমছে না স্কুলব্যাগের ভার

উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও নিজেদের ওজনের তুলনায় অনেক ভারী ব্যাগ বয়ে চলেছে শিশুরা, যা দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।

মাসুম বিল্লাহ নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2017, 04:24 AM
Updated : 10 Oct 2017, 12:03 PM

অভিভাবক, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয় সবার জ্ঞাতসারে শিশুরা ভারী ব্যাগ নিয়ে চললেও তা ঠেকাতে হাই কোর্টের নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেই।

হাই কোর্টের ওই নির্দেশনার পাঁচ মাস পর এসেও শিশুদের নিজেদের ওজনের অতিরিক্ত ভারী ব্যাগ বহনের চিত্র উঠে এসেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক জরিপে।

রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির ২৫ শিক্ষার্থীর ব্যাগের ওজন করে তাদের গড় ওজনের ২৫ শতাংশের বেশি পাওয়া গেছে।

সরকারের দেওয়া বইয়ের সঙ্গে স্কুল থেকে দেওয়া সহায়ক বইয়ের সঙ্গে প্রতিটি বিষয়ের বিপরীতে সর্বোচ্চ তিনটি পর্যন্ত খাতা বা ডায়েরি মিলেছে তাদের ব্যাগে। পাশাপাশি ব্যাগের ওজনের সঙ্গে যোগ হয় টিফিন বক্স ও কমপক্ষে ১ লিটার পানি।

আবার কারও কারও ক্ষেত্রে স্কুলের আগে-পরে কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য কোচিংয়ের সহায়ক বই ও খাতা থাকায় ওজন অতিরিক্ত হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নেওয়া ওজনের নমুনায় ভিকারুন নিসা নূন স্কুলের প্রথম শ্রেণির দুই ছাত্রীর ব্যাগের ওজন ৪ কেজি করে, পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর ব্যাগের ওজন ৫ কেজি এবং ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর ব্যাগের ওজন সাড়ে ৫ কেজি; উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংলিশ ভার্সনে প্রথম শ্রেণির চার শিক্ষার্থীর ব্যাগের ওজন গড়ে চার কেজি; মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ব্যাগের ওজন ৭ কেজি; ধানমণ্ডি টিউটোরিয়ালের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর ব্যাগের ওজন চার কেজি ও সাড়ে ৪ কেজি করে; মিরপুরের লতিফ মেমোরিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর ব্যাগের ওজন ৫ কেজি; ঢাকা প্রিপারেটরি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর ব্যাগের ওজন সাড়ে ৪ কেজি এবং উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ব্যাগের ওজন সাড়ে ৫ কেজি পাওয়া গেছে।

চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, ৫ বছরের একটি ছেলে শিশুর আদর্শ ওজন ১৮ দশমিক ৭ কেজি, আর মেয়ের ১৭ দশমিক ৭ কেজি। ৬ বছরের একটি ছেলে শিশুর আদর্শ ওজন ২০ দশমিক ৬৯ কেজি, আর মেয়ের ১৯ দশমিক ৯৫ কেজি।

সে হিসাবে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ব্যাগের ওজন সর্বোচ্চ ২ কেজি হওয়ার কথা (শরীরের ওজনের ১০ শতাংশ)। সেখানে ঢাকার খ্যাতনামা স্কুলগুলোর প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ব্যাগের ওজন পাওয়া গেছে সর্বনিম্ন ৪ থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ কেজি। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও হিসাবটা এরকমই।

চিকিৎসকদের তালিকায় বয়স অনুপাতে শিশুদের আদর্শ ওজন

বয়স

ওজন ছেলে (কেজি)

ওজন মেয়ে (কেজি)

৫ বছর

১৮.৭

১৭.৭

৬ বছর

২০.৬৯

১৯.৫

৭ বছর

২২.১

২১.৯

৮ বছর

২৫.৩

২৪.৮

৯ বছর

২৮

২৬

১০ বছর

৩২

৩২

১১ বছর

৩৬

৩৫

১২ বছর

৪৫

৪৪

শিশুদের কাঁধে অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগ দেওয়ার কারণ হিসেবে অভিভাবকরা বলছেন, স্কুল থেকে অনেক সময় অতিরিক্ত বই দেওয়া, প্রতিটি বিষয়ের জন্য স্কুল থেকে দেওয়া অন্তত দুটি মোটা খাতার সঙ্গে পানি-টিফিন যুক্ত হওয়ায় ব্যাগের ওজন বাড়ছে।

ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে মেয়ে এবং মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছেলে পড়ে সালমা ইসলামের। নিজের হাতে কিছুটা অসুবিধা থাকায় এখন ছেলের বেশি ভারি ব্যাগ নেওয়া তার পক্ষেও সম্ভব হয় না।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার ছেলেকে প্রতিদিন সাতটি ক্লাসের জন্য সাতটি বই, সাতটি করে ক্লাস ও বাড়ির কাজের খাতা নিয়ে যেতে হয়। এর পাশাপাশি থাকে দেড় লিটারের পানির বোতল ও টিফিন বক্স।

একইভাবে প্রথম শ্রেণির মেয়েকেও ছয়টি বইয়ের সঙ্গে সাত-আটটি খাতা, পানির বোতল ও টিফিন ব্যাগে নিয়ে যেতে হয়।

অনেক শিক্ষার্থীর ক্লাসের আগে-পরে কোচিং থাকায় তারা কোচিংয়ের সহায়ক বই আর খাতাও নিয়ে যায় বলে জানান এই অভিভাবক।

“শিক্ষার্থীর ওজনের ১০ ভাগের এক ভাগ ওজনের ব্যাগের কথা কোর্ট বলেছে। কিন্তু সেটার সুযোগ আসলে নেই। আমি তো দেখি, ব্যাগ ওঠাতে আমার ছেলের কত কষ্ট হয়! কিন্তু উপায় তো নেই।”

উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইংলিশ ভার্সনে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে পুরান ঢাকার বাসিন্দা নুসরাত ফারহানার মেয়ে। চারটি বই, আটটি খাতা ও পানি-টিফিন ভরা ব্যাগ ভারি হওয়ায় নিজেই সেটা বহন করে নিয়ে আসার কথা জানান তিনি।

ফারহানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়ার পরে স্কুল থেকে অতিরিক্ত দুটি বই দেয়নি। কিন্তু চারটি বই তো থাকছেই। বই থাকলে হোমওয়ার্ক, ক্লাস ওয়ার্ক ও হাতের লেখার খাতা থাকে প্রতিটির জন্য কমপক্ষে দুটি করে। ওজন কমার নির্দেশনা সেজন্য বাস্তবায়ন হয় না।”

শিশুদের ব্যাগের ওজন বাড়ার জন্য অভিভাবকদেরও দায় রয়েছে বলে মনে করেন এই মা।

তিনি বলেন, “স্কুল থেকে অতিরিক্ত বই না দিলে বলি, দেয় না কেন? অনেকে অতিরিক্ত টিফিন ও দুই লিটার পর্যন্ত পানি দেই। ব্যাগ বাছাই করার ক্ষেত্রে পাতলা ব্যাগ বাছাই করি না।ব্যাগের ওজনও হয়ে যায় ১ কেজির বেশি।”

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব এবং শিক্ষকরা শিক্ষা উপকরণ দেওয়ায় ব্যাগের ওজন ঠিক জায়গায় আসেনি।

“অতিরিক্ত বা সহায়ক বইয়ের মতো কিছু যেন না দেওয়া হয় সে বিষয়ে আমরা নিদের্শনা দিয়েছি।”

তবে ব্যাগের ওজন কমানোর জন্য অতিরিক্ত বই বহন বন্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং সেভাবে হচ্ছে না বলে স্বীকার করেন মহাপরিচালক।

একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষাপটে গত বছর ৭ ডিসেম্বর প্রাথমিকে শিশুর শরীরের ১০ শতাংশের বেশি ওজনের ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ করতে ছয় মাসের মধ্যে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।

সেইসঙ্গে ১০ শতাংশের বেশি ওজনের ব্যাগ বহন না করতে এবং করাতে বাংলা ও ইংরেজি মাধ‌্যমের সব স্কুলে ৩০ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই নির্দেশনা না মানলে কী শাস্তি বা ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সার্কুলারে উল্লেখ করার নির্দেশনার পাশাপাশি নির্দেশনা পালনের বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠনের কথাও বলে উচ্চ আদালত।

এরপর শিশুদের সরকারি বইয়ের অতিরিক্ত বই না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্কুল প্রধানরা; তবে সেটা বাস্তবায়ন হওয়ার ক্ষেত্রে মনিটরিং হচ্ছে না বলে জানান তারা।

হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আসিফ-উজ-জামান বলেন, “আইনের প্রথম খসড়া করেছি। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষে সেই আইন পাস হবে।”

তবে ওই আইনের বাস্তবায়ন কীভাবে হবে সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের এই কর্মকর্তার।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আইন করছি, কিন্তু সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সেটা নিয়ে এখন সন্দিহান।

“আমরা যে ছয়টি বই দিই সেটার ওজন অত বেশি না। কিন্তু ইংলিশ মিডিয়ামসহ বেসরকারি স্কুলগুলো যে সহায়ক বই দেয় তার কারণে ওজন বাড়ে। তারা তো কেবল আমাদের কাছ থেকে সরকারি বই নেয়, কিন্তু অন্যান্য বিষয়ের সিদ্ধান্ত একান্ত তাদের।”

শিশুদের ভারী ব্যাগ বহনের বিষয়টি মেনেই নিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ উম্মে সালমা বেগম। তিনি বলছেন, সরকারের নিয়ম অনুযায়ীই তারা চলছেন। বই যতগুলো হবে তার বিপরীতে দুটি করে খাতা থাকবেই।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ব্যাগের মধ্যে যদি দুই লিটার পানি নিয়ে আসে, সেটা কী করবেন আপনি? প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে আর ভাবতে চাই না। আমরা তো কোনো এক্সট্রা বই দেইনি। এখন ব্যাগ মাপার আমাদের দরকারটা কী? বিষয় কমিয়ে দিই, সব ঠিক হয়ে যাবে।”

ব্যাগের বাড়তি ওজনের জন্য নির্দেশনা বাস্তবায়নে মনিটরিং না থাকা এবং এটা লংঘনের জন্য শাস্তি না হওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু। পাশাপাশি শিশুদের বেশি বই পড়ানো হয় বলে মনে করছেন তিনি।

ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পঞ্চম শ্রেণিতে ছয়টা বই। আবার ষষ্ঠ শ্রেণিতে সেটা ১২টা হয়ে যায়। সাতটা করে ক্লাস হলে সাতটার জন্য কমপক্ষে সাতটা খাতা। বিষয় কমানো দরকার। সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই বিষয়গুলো এই পর্যন্ত পড়ানো হবে, ওই বিষয়গুলো ওই পর্যন্ত পড়ানো হবে।”

ওজনের চার্ট অনুযায়ী প্রতিটি ক্লাসের গড় বয়স অনুযায়ী ব্যাগের ওজন নির্ধারণ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন দুলু।

অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বইয়ের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার পক্ষে মত উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অধ্যক্ষ উম্মে সালেমা বেগমেরও।

প্রাথমিক পর্যায়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কেবল বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের বেশি কিছু পড়ানো উচিত না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আপনি নলেজ দিবেন, নাকি নলেজ আহরণের পথ তৈরি করে দিবেন।

“আপনি বাংলা, ইংরেজি আর গণিত ভালো করে পড়ান, বাচ্চাদের জগত খুলে যাবে। সমাজ, পৌরনীতি, ধর্ম- এগুলো এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ হিসাবে থাকবে।”

অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগের কারণে শিশুরা মেরুদণ্ড ও হাড়ের বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে বেড়ে উঠছে বলে সতর্ক করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু রোগ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।

সমাধান হিসেবে বই কমিয়ে আনা অথবা বিভিন্ন দেশের মতো বই-খাতা স্কুলে রেখে আসার ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

এই চিকিৎসক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বহুবারই একই কথা বলেছি। আসলে বাচ্চাদের ভারী ব্যাগে তার হাড়ের উপরে যে চাপ পড়ে এবং বিশেষ করে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে। এতে বাচ্চাদের মেরুদণ্ডে ও বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয়, মাঝে মাঝে ব্যথা এতই তীব্র হয় যে তাকে ওষুধ খেতে হয়। ব্যথার ওষুধ তো এতো অল্পবয়সে খাওয়া ঠিক না।

“মূলত মেরুদণ্ডের উপরে এবং জয়েন্টের উপরে প্রেসারের কারণে হয়, সেটা এত অল্প বয়সে কাঙ্ক্ষিত না। সেজন্য পৃথিবীর কোথাও বাচ্চাদের ভারী ব্যাগ নিয়ে স্কুল থেকে বাসা, বাসা থেকে স্কুল নেই, নিষিদ্ধ।”

তিনি বলেন, “কিছু কিছু বই যদি স্কুলে রাখার সিস্টেম থাকে, বাচ্চাদের জন্য পৃথক লকার, যেটা দেয়ালের উপরের দিকে করা যায়। কেবল প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয়গুলো নিয়ে আসবে।”

ব্যাগ কেনার ক্ষেত্রে হালকা ব্যাগ বাছাই করতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলেন, “হাফ কেজি ওজনের ব্যাগ নেবে। পানি হাফ কেজির বেশি লাগেই না, কিন্তু দেওয়া হয় এক কেজির বেশি। বইয়ের বিপরীতে যদি একটা খাতা দেওয়া হয় তাহলে সেটা ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৪ কেজি হবে।”

তিনি বলেন, “আমি সহায়ক বই দিয়ে বাচ্চাকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু করে ফেলব... সেটাতে কতটুকুই বা বিদ্যা বাড়ল? ওই বিদ্যা কোনো কাজে লাগবে না যদি শরীর অসুস্থ থাকে।”