১০ দিনের বেশি অপেক্ষার পর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে গুলশান নর্থ অ্যাভিনিউতে অবস্থিত হাই কমিশনে পাঁচটি ভারী বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ শুরু করেন ডিএনসিসির কর্মীরা।
ফুটপাতের ওপর নির্মিত লোহার খুঁটিসহ কনক্রিটের স্থাপনা কেটে বুলডোজার ব্যবহার করে উচ্ছেদ করা হয়। ৩৯টা ছোট ও ১২০টি বড় খুঁটি গ্যাসের আগুনে কেটে ফেলা হয়েছে। পরে পিকআপ ভ্যানে করে লোহা ও কংক্রিটের স্তুপ সরিয়ে নেওয়া হয়।
“ইতোমধ্যেই ফুটপাথ দখল করে থাকা দূতাবাসগুলোর অবৈধ স্থাপনা, ফুলের টপ, বোল্ডার যা যা ছিল তা আলোচনার মাধ্যমে সরিয়ে নিয়েছি। গত ছয় মাস ধরে চলা এই প্রচেষ্টা এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।”
এর আগে ২৬ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশনের পাশের ফুটপাতের ৩৩টি কংক্রিটের প্লাস্টার ব্লক অপসারণ করা হয়।
অভিযানের সময় বিকালে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাবের সুলতান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বোল্ডার দিয়ে তারা ফুটপাত-রাস্তা দখল করে রেখেছিল। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লেভেলে আলোচনা হয়েছে।
“তারপর আজকে আমরা উচ্ছেদ শুরু করলাম।সকাল নয়টা থেকে কাজ শুরু করেছি। যত রাতই হোক এই কাজ আজকে শেষ করা হবে।”
ডিএনসিসির অনুরোধে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ফুটপাত থেকে প্লান্টার সরিয়ে পথচারীদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। কানাডা দূতাবাসও ফুটপাত উন্মুক্ত করে।
পর্যায়ক্রমে ইতালি, রাশিয়া, সৌদি আরব দূতাবাস এবং পাকিস্তান হাই কমিশনের সামনের ফুটপাত থেকেও কংক্রিট প্লান্টার ও ব্লক অপসারণ করা হয়।