ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুই আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।”
আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত ও পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমানকে বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটের এক বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার সকালে ঢাকায় নিয়ে আসার পর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।
এদিকে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম-কমিশনার কৃষ্ণপদ জানান, ধর্ষণের মামলাটির তদন্তে তদন্তকারী সংস্থাকে সহায়তা দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে।
“মামলার বাদীদের প্রতি সংবেদনশীল থেকে আমরা যাতে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারি এজন্য তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্ত কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য মাননীয় কমিশনার গতকাল এই তদন্ত সহায়ক কমিটি গঠন করেছেন।”
মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ক্রাইম) এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন জানিয়ে কৃষ্ণপদ বলেন, ডিবি উত্তরের (গুলশান বিভাগ) উপ-কমিশনার এবং উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপ-কমিশনারকেও রাখা হয়েছে কমিটিতে।
অন্য আসামিরা পলাতক জানিয়ে কৃষ্ণপদ বলেন, “এখনও অভিযান চলমান আছে, তাদের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে গ্রেপ্তারের অভিযানটা শেষ হবে। পাশাপাশি আমাদের তদন্ত কার্যক্রম সবিশেষ গুরুত্ব সহকারে এগিয়ে যাবে।
“তদন্তের পারিপার্শ্বিক যে তথ্যগুলো আছে, যেসব ফিজিক্যাল এভিডেন্স আছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে যে এভিডেন্সেগুলোর ফরেনসিক এবং ডিজিটাল ফরেনসিক এবং মেডিকেল ফরেনসিক বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে সে তথ্যগুলো আমরা সংগ্রহ করছি।”
মামলার এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন সাফাত ও নাঈম। সাদমানসহ অন্য তিনজন ছিলেন সহযোগী।
ঘটনার মাসখানেক পর গত ৬ মে এক তরুণী বনানী থানায় মামলা করার পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সাফাত গ্রেপ্তার না হওয়ায় পুলিশের সমালোচনাও ওঠে।
এরপর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় এক প্রবাসীর বাসা থেকে সাফাত ও সাদমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুরনো খবর