মুসলমানদের বিভক্তি দূর করায় প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তির অবসান ঘটিয়ে সংঘাত বন্ধে গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2017, 02:56 PM
Updated : 11 May 2017, 02:56 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌদি আরব পার্লামেন্টের মজিলিসে সুরার স্পিকার আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম আলি-আল-শেখের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাতে এলে একথা বলেন শেখ হাসিনা।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মুসলিমদের মধ্যে যে বিভক্তি; শিয়া, সুন্নি বা বিভিন্ন গ্রুপে যে যুদ্ধ হচ্ছে এটা বন্ধ করতে হবে।

“আমরা নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করছি। এর মধ্যে লাভবান হচ্ছে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। এটা বন্ধ করতে হবে এবং নিজেদের মধ্যে বসে এটা আলোচনা করতে হবে যে, সমস্যা কি ও এর সমাধান বের করতে হবে,” প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃতি করে বলেন প্রেস সচিব। 

নিজেদের মধ্যে সংঘাতের কারণে মুসলমানরা অন্য দেশে শরণার্থী হচ্ছে এবং এটা মুসলমানদের জন্য লজ্জা বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রেস সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শেষ বিচার করবেন আল্লাহ, তাহলে এই বিভেদ কেন? শিয়া, সুন্নী। এই বিভেদগুলো বন্ধ করতে হবে।”

ধর্মের নামে আত্মঘাতী হামলা চালানোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এর ফলে মুসলমানদের বদনাম হচ্ছে।

ইসলামের সত্যিকারের মর্মবাণী বোঝানোর ক্ষেত্রে ওলামাদের ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সৌদি স্পিকার।

সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীকে সৌদির বাদশাহর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন সে দেশের স্পিকার।

তিনি বলেন, তার নিজের সফর এবং প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে বাংলাদেশ-সৌদি আরব সম্পর্ক আরো গভীর হবে বলে তিনি মনে করেন।

স্পিকার আরো বলেন, বাদশাহ তাকে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরের মাধ্যমে আরো সুদৃঢ় হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরকালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় একটি সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আগামী ২১ মে ‘অ্যারাবিক ইসলামিক আমেরিকান হিস্টোরিকাল সামিট’ শিরোনামে এই সম্মেলন হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়াও বিভিন্ন মুসলিম দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও আসন্ন সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।