নির্বাহী ও বিচার বিভাগের টানাপড়েন নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি

রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান অঙ্গের দুটি নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের টানাপড়েন নিয়ে অন্য প্রধান অঙ্গ আইনসভায় আলোচনার দাবি উঠেছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2017, 02:24 PM
Updated : 2 May 2017, 06:04 PM

মঙ্গলবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় এ দাবি তোলেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।

তিনি বলেন, “দেশে এখন আতঙ্ক এবং ক্ষোভের কিছু একটা চলছে। আমরা ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী তিন বিভাগের যে ব্যবস্থাপনা দিয়েছেন, সেটা নিয়ে কথা হবে না। এরপরেও আলোচনা হচ্ছে। মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছে।”

“কেউ বলছে দেশে আইনের শাসন নেই। কারা বলছে, কীভাবে বলছে, জানি না। সরকারের উচিৎ এগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখা।”

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা দুই বছর আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে তার কথায় রাষ্ট্রের নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মধ্যে টানাপড়েনের প্রকাশ ঘটেছে।

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরিবিধির গেজেট প্রকাশ নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে গত মাসের মাঝামাঝিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাকে পাশ কাটানো হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে সমঝোতার মাধ্যমেই চলতে হবে। পরস্পরকে দোষারোপ করে একটি রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে না।

এর মধ্যেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একদিন বলেন, কোনো দেশে প্রধান বিচারপতিরা ‘প্রকাশ্যে এত কথা বলেন না’।

এরপর গত ৩০ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়’ বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে বলেই তাকে কথা বলতে হচ্ছে।”

সংসদ সদস্য ফখরুল বলেন, “পার্লামেন্টের অগ্রাধিকার বা অথরিটি কী? এই পার্লামেন্ট সংবিধান উপহার দিয়েছে। বিচার বা নির্বাহী বিভাগ দেয় নাই। এই সংসদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে। সংসদ নেতা, যিনি নির্বাহী বিভাগের প্রধান, তাকে ঠিক করে। দুটা বিভাগ এখানেই আছে।

“বিচার বিভাগ এত কথাবার্তা কীভাবে বলছে? আমার ওখানে উপজেলা চেয়ারম্যান মন্ত্রী মর্যাদা চায়। এখন বিচার বিভাগ যদি সর্বোচ্চ মর্যাদা চায়, তবে?”

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নাম উল্লেখ না করে এই সংসদ সদস্য বলেন, “তিনি বলেছেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়। এ বিষয়গুলো... প্রথানমন্ত্রী ও সংসদ নেতাকে অনুরোধ করবো, এখানে আলোচনার মাধ্যমে স্থগিত করা যায়, সেটা ভালো হবে।”