রোববার বিকালে মীরহাজীরবাগে তৃতীয় জানাজা শেষে তাকে সন্ধ্যার আগে দাফন করা হয়।
এর আগে বেলা ১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) তার প্রথম জানাজা হয়।
বিএফইউজে, ডিইউজে, ডিআরইউসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন জানাজায় অংশ নেন। পরে ওমর ফারুকের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পরে ওমর ফারুকের মরদেহ তার কর্মস্থল পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখান দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সেখান থেকে মরদেহ তার মীরহাজিরবাগের বাসায় নেওয়ার পর খালপাড় জামে মসজিদে তৃতীয় জানাজা হয়।
সন্ধ্যার আগে জুরাইন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওমর ফারুকের মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর।
বাংলা ট্রিবিউনের হেড অফ নিউজ হারুণ উর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবার দুপুরে অফিসে ঢোকার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন ফারুক।
সঙ্গে সঙ্গে তাকে পাশের স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, তার হার্টে ব্লক রয়েছে, জরুরিভিত্তিতে বাইপাস সার্জারি করাতে হবে।
সে অনুযায়ী হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল জানিয়ে হারুণ বলেন, “রাত দেড়টার দিকে তার অবস্থা খারাপের দিকে যায় এবং সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।”
দুই মেয়ের বাবা ওমর ফারুক তার পেশাগত জীবনে দৈনিক সমাচার, দৈনিক রূপালী, দৈনিক আজকের কাগজ ও দৈনিক যুগান্তরে কাজ করেছেন।
তার স্ত্রী সানজিদা ওমর গৃহবধূ। দুই মেয়ের মধ্যে ফারিয়া ওমর ইরা দশম শ্রেণিতে পড়ে। ছোট মেয়ে দীপিকা ওমর দিয়া পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে।