দোষী সাব্যস্ত না হলে রাজাকার বলা সমীচীন নয়: ট্রাইব্যুনাল

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলেছে, যুদ্ধাপরাধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো আসামিকে ‘রাজাকার’ বলা সমীচীন হবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2017, 10:38 AM
Updated : 30 April 2017, 10:38 AM

যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার নওগাঁর তিন আসামিকে সেইফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতির আদেশ দিয়ে রোববার বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ কথা জানায়।

ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউর তাপস কান্তি বল ও প্রসিকিউটর আবুল কালাম। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। 

পরে প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার নওগাঁর জামায়াত নেতা রেজাউল করিম মন্টু, ইসহাক আলী ও শহীদ মণ্ডলকে সেইফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়েছিল তদন্ত সংস্থা।

“ওই আবেদনে তিন জনের নামের আগে ‘রাজাকার’ শব্দটি থাকায় ট্রাইব্যুনাল বলেছে, কোনো ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত না হওয়া তাকে ‘রাজাকার’ বলা সমীচীন হবে না।”

তাপস জানান, ওই তিন আসামিকে আগামী ৮ ও ৯ মে ধানমন্ডির সেইফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। আর আগামী ১২ জুলাই এ মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে।

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত বছরের ১৮ অক্টোবর নওগাঁ জেলার চার জনের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়। আসামিদের মধ্যে একজন এখনও পলাতক। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রেজাউল করিম মন্টুসহ গ্রেপ্তার তিন আসামিই নওগাঁ জেলার তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

তিনি জানান, জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মন্টুকে গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিনই ইসহাক আলী ও শহীদ মণ্ডলকেও নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।