এবার রমজানের শুরু থেকেই লাগাতার ধর্মঘট হতে পারে বলছেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম।
শনিবার রাতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা আসতে পারে।
রবিউল বলেন, “আমাদের আবার আন্দোলনে যেতে হচ্ছে। এর আগে ১০ দিন ধর্মঘট করার পরও সরকারের কোনো এজেন্সি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণ করেনি।
“কালকে সংবাদ সম্মেলনে আমরা ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেব। কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের দাবি মেনে নেয়, আর মাংসের দাম যদি ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না আসে, তাহলে আমরা পয়লা রমজান থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করব।”
গাবতলী হাটের ইজারাদারের অত্যাচার দিনদিন বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ করেন মাংস ব্যবসায়ীদের এই নেতা।
তিনি বলেন, “তারা এখনও অতিরিক্ত ইজারা আদায় করায় মাংসের দাম বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।
“গাবতলী হাটের ইজারাদার একের পর এক শর্ত ভঙ্গ করছে, চাঁদাবাজি করছে। মাংসের দাম ৬০০ টাকার উপরে উঠে গেছে। এই দাম দিয়ে ক্রেতারা মাংস কিনতে পারছে না, আমরাও ব্যবসা চালাতে পারছি না। এভাবে চলতে পারে না।”
রবিউল বলছেন, ইজারাদার চাঁদাবাজি বন্ধ করলে রাজধানীবাসীকে ৩০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস খাওয়াতে পারবেন তারা।
দাম বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীতে মাংস বিক্রি কমে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগে যেখানে প্রতিদিন পাঁচ হাজার গরু-মহিষ বিক্রি হত, সেখানে বর্তমানে প্রতিদিন দেড় হাজার গরু বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ছাগল-ভেড়ার বিক্রিও কমেছে।”