শিশুদের ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে ষড়ঋতুর পালাবদল। প্রকৃতির রূপবদলের গল্পে তাদের ক্যানভাসে অনুষঙ্গ হয়ে এসেছে বৃক্ষরাজি। পাখ-পাখালি আর ফুল-ফলের ছবি আঁকতেও তারা ভোলেনি।
ক্ষুদেদের তুলিতে ফুটে উঠেছে নদীমাতৃক গ্রামবাংলার কথা। তারা এঁকেছে শহরের আধুনিক দিনযাপনের গল্প। শুভের বিপরীতে অশুভের আস্ফালনকেও তারা কটাক্ষ করেছে রঙতুলিতে।
সামাজিক সংগঠন সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
প্রদর্শনী উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি বলেন, “শুধু আইডিয়া নিয়ে বসে থাকেনি সুইচ বাংলাদেশের আয়োজকরা। আজকের এই শিশুদের মধ্যে অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য ড. আবুল হাসান এম সাদেক।
সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল ফয়সাল জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহযোগিতায় বুয়েট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তারা তিন মাস পথশিশুদের চিত্রাঙ্কনে তালিম দিয়েছেন। সেই কর্মশালার ছবি নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রদর্শনী।
ফয়সাল বলেন, “পথশিশু ও শ্রমজীবী শিশুদের শিক্ষাদান এবং এদের সুপ্ত প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”
শ্যামসুন্দর সিকদারের চারটি বইয়ের পাঠ মূল্যায়ন
কবি শ্যামসুন্দর সিকদারের চারটি বইয়ের পাঠ মূল্যায়ন অনুষ্ঠান হয়ে গেল শনিবার বিকালে।
পদক্ষেপ বাংলাদেশ আয়োজিত এ অনুষ্ঠান ছিল রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইস্ফেন্দিয়ার জাহিদ হাসান মিলনায়তনে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে পাঠ মূল্যায়ন করেন কবি অসীম সাহা, কবি আমিনুর রহমান সুলতান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন পদক্ষেপ বাংলাদেশের সভাপতি বাদল চৌধুরী। কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন রূপা চক্রবর্তী, পারভেজ চৌধুরী, অন্বেষা সিকদার প্রমুখ। কবিতার অনুবাদ থেকে পাঠ করেন জান্নাতুন নিসা।
শ্যামসুন্দর সিকদার বলেন, “আমি খুব সচেতনভাবেই স্বীকার করছি যে- এখন পর্যন্ত আমার কোনো একটি কবিতাও পাঠকপ্রিয়তা পায়নি। তবুও লিখছি। লিখে চলেছি দেশ মাতৃকার প্রতি ও মানবতার প্রতি দায় রেখে। লিখি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় মানুষের প্রতি দরদী অনুভূতির বিস্তারে অংশীজন হিসেবে।”