শিশুদের কোডিংয়ে বুদ্ধির খেলা

সাত আর চারে মিলে কত? অ্যাপের এমন প্রশ্নের উত্তর দিলেই মিলছে ‘ধন্যবাদ’, আসছে নতুন প্রশ্ন। কোমলমতি শিশুদের কোডিংয়েই এমন গাণিতিক সমাধানসহ নানা খেলার অ্যাপ তৈরি হচ্ছে জাতীয় শিশু কোডিং ফেস্ট-২০১৭ এর চূড়ান্ত পর্বে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2017, 12:10 PM
Updated : 28 April 2017, 12:16 PM

শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ল্যাবে কোডিংয়ে মগ্ন হয়ে উঠে ঢাকা বিভাগের অন্তত ৩০ শিশু, যাদের অধিকাংশেরই বয়স ১২ এর নিচে।

সরকারের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহায়তায় ‘কোড ক্লাব বাংলাদেশ’ ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ এ উৎসব বাস্তবায়ন করছে।

দুপুরে ল্যাবে গিয়ে দেখা যায়, ছবি আঁকা, প্রশ্নোত্তর দেওয়া, পড়ার রুম সাজানোসহ বিভিন্ন অ্যাপ নির্মাণে ব্যস্ত শিশুরা।

কোড ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষক মেহনাজ শারমীন মোহনা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, উৎসব শুরুর পর তারা নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৭/৮টি কোডিং বিষয়ক ক্লাস করেছেন। তারা নিজেরাও বাসায় চর্চা করেছে। এখন দেড় ঘণ্টায় একেকজন সর্বোচ্চ চারটি গেইমও বানিয়েছে।

অন্যতম প্রতিযোগী মগবাজারের নজরুল শিক্ষালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী কারিমা ফেরদৌসীর ভাষায়, প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার মাউস-কিবোর্ডের হাতেখড়ি। এতদিন গেইম খেলা ও এমএস ওয়ার্ড ফাইলে লেখালেখি করলেও এখন শুরু করেছে কোডিং। গাণিতিক সমাধানের একটি অ্যাপ বানিয়েছে সে। 

কোড ক্লাব বাংলাদেশের হেড অব কান্ট্রি অপারেশন ফারহানা আক্তার চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কোডিংয়ের মতো প্রযুক্তি বিদ্যার আধুনিক এই শাখাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিতি করে তুলতে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন।

গত মার্চে উৎসব শুরুর পর ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী ২০০ প্রযুক্তিপ্রেমী শিশু কোডিং করার আগ্রহের কথা জানায়। সারা দেশের ২০০১টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবেও কোডিং উৎসবের চিঠি গেছে।

প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের ৫০ জন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত পর্বে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে দূরের দুই বিভাগের কোনো শিশু আসতে না পারলেও ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলো থেকে ৩০ জন শিশু চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়।

প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে ভালো নম্বর পাওয়া ১০ জনকে পাঁচ হাজার টাকা করে প্রাইজবন্ড ও ক্রেস্ট দেওয়া হবে।