ঢাকায় রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্রের প্রিমিয়ার

সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বনির্ভর গ্রামবাংলা তৈরি করতে চেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক আহমদ রফিক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2017, 11:58 AM
Updated : 28 April 2017, 11:58 AM

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকীর আয়োজনে ‘রবীন্দ্রনাথ ২০১৭’ শীর্ষক এক প্রামাণ্যচিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে এসে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় গণগ্রন্থাগারের সেমিনার রুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

আহমদ রফিক বলেন, “১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পতিসরে সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর গ্রাম বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, চেয়েছিলেন আত্মনির্ভরশীল মানুষ তৈরি করতে। পরে ব্যাংকটি যখন অর্থাভাবে পড়ে, তখন তার নোবেল পুরস্কার থেকে পাওয়া এক লাখ ১২ হাজার টাকা তিনি এই ব্যাংকে দেন।”

তিনি বলেন, “গ্রামবাংলার মেহনতি খেটে খাওয়া মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গে ক্ষু্দ্র ঋণের ধারণা দিয়েছিলেন।”

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সভ্যতার সঙ্কট’ প্রবন্ধটি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আহমদ রফিক বলেন, “এ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যেন এক আত্ম উপলদ্ধি, আত্ম উন্মোচনে পরিচয় দেখতে পাই। সেখানে উঠে আসে সমাজ ও সভ্যতার কথা, উঠে আসে অর্থনীতি নিয়ে তার ভাবনার কথাও।”

সাম্প্রদায়িকতা ও শ্রেণি বিভাজনের ঘেরাটোপ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যকে উদ্ধার করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের দাসত্ব থেকে বেরিয়ে এসে মুক্তির পথ বাতলে দিয়েছিলেন। আমাদের মুক্তি সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে ধাপে তার ভূমিকা অসাধারণ।”

ফুল ফ্রেম মিডিয়ার প্রযোজনা ও পরিবেশনায় ‘রবীন্দ্রনাথ ২০১৭’ প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন শ্যামল চন্দ্র নাথ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যচর্চা, সমাজ দর্শন, রাজনীতি, অর্থনীতি ভাবনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে এ প্রামাণ্যচিত্র।

এতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনকর্ম নিয়ে আলোকপাত করেছেন আহমদ রফিক, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, প্রাবন্ধিক ও গবেষক যতীন সরকার, কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এবং বিশিষ্ট ভাষাতাত্ত্বিক অধ্যাপক পবিত্র সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাবন্ধিক প্রবীর বিকাশ সরকার।