আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি ছাড়াই স্মার্ট কার্ডের প্রস্তাব

উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ডের বিতরণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে নাগরিকদের দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি না নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2017, 07:31 PM
Updated : 27 April 2017, 07:31 PM

কমিশনের অনুমোদন পেলে শিগগিরই এভাবে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু করা হবে বলে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন।

সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নয় কোটি ভোটারের কাছে স্মার্ট কার্ড পৌঁছাতে হবে। এখন সময় কম, বিতরণ কাজ সহজ করতে হবে।

“এজন্য আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি না নিয়েই দ্রুত স্মার্ট কার্ড নাগরিকদের হাতে পৌঁছাতে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি।”

স্মার্ট কার্ড দেওয়ার পরে কোনো এক সময় এসব নাগরিকের আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হলেও মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় ১৫ লাখ, কুড়িগ্রামে ৮২ হাজার, চট্টগ্রামে ৪৭ হাজার ও রাজশাহীতে নয় হাজার কার্ড বিতরণ হয়েছে।

রাজধানীতেই এ পর্যন্ত ৪০ শতাংশ নাগরিক স্মার্ট কার্ড নেয়নি, নানা জটিলতায় ১ লাখেরও বেশি লোক কার্ড নিতে পারেননি।

শুরু থেকেই এ কাজে নানা অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি নতুন করে আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ নিতে গিয়ে বিতরণ বিলম্বও হচ্ছে।

আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ নিয়ে বিতরণ করতে হলে নাগরিকদের স্ব-শরীরে কেন্দ্রে যেতে হয়, নির্ধারিত সময়ে অনেকে উপস্থিত হতে পারেন না এবং পুরো কাজ শেষ করা বেশ সময়সাপেক্ষ।

ইসি সচিব বলেন, “আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি ছাড়া স্মার্ট কার্ড বিতরণ করলে কোনো সমস্যা হবে না। কমিশন এতদিন চেয়েছে নাগরিকদের তথ্য যত বেশি নেওয়া সম্ভব তা নেওয়ার জন্য। কিন্তু এখন স্মার্ট কার্ড দ্রুত বিতরণের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।”

নাগরিকদের ‘স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র’ দিতে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে ইসি।  প্রকল্পের মেয়াদের দুই তৃতীয়াংশ সময় পরও স্মার্ট এনআইডি বিতরণ শুরু করতে না পেরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও দেড় বছর।

আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহেন্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পের আওতায় বিশ্ব ব্যাংক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা।