হাওরবাসীর পাশে চিত্রশিল্পীরা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীর সহায়তায় তহবিল সংগ্রহে ছবি আঁকছেন চিত্রশিল্পীরা। এসব ছবি বিক্রির অর্থ দেওয়া হবে তাদের হাতে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2017, 06:31 PM
Updated : 27 April 2017, 06:41 PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার জয়নুল গ্যালারির সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এই চিত্রাঙ্কন শুরু হয়। ছবি আঁকেন চারুকলার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

‘হাওরপাড়ে বিপন্ন মানুষ: ছবি কিনুন পাশে দাঁড়ান’ স্লোগানে চিত্রশিল্পীদের সংগঠন ‘ঢেউ’ এই কার্যক্রম চলবে ৬ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সেখানে ছবি আঁকবেন শিল্পীরা।

চারুকলার শিক্ষক আবুল বারক্ আলভী দুপুরে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন। এ সময় চারুকলা অনুষদের ডিন শিল্পী নিসার হোসেনসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

চারুকলার শিক্ষক শিল্পী সুমন বৈদ্য বলেন, দেশের অনেক খ্যাতিমান শিল্পী, চারুকলার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এখানে ছবি আাঁকবেন। অনেকে বাইরে থেকে ছবি এনে জমা দেবেন।

“বড় শিল্পীদের আঁকা ছবি তুলনামূলক কম দামে এখান থেকে কেনা যাবে। সাধারণ শিল্পীদের আঁকা ছবি বিক্রি হবে এক হাজার থেকে পাচঁ হাজার টাকার মধ্যে। এসব ছবি বিক্রির অর্থ বন্যার্তদের সহায়তায় প্রদান করা হবে।”

এদিন বিকাল নাগাদ আাঁকা হয় ৩০টির মতো চিত্রকর্ম।

শিল্পকলায় বইমেলা

আন্তর্জাতিক গ্রন্থ ও কপিরাইট দিবস উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে তিন দিনের বইমেলা।

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বৃহস্পতিবার বিকালে এ মেলার উদ্বোধন করেন।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক নজরুল ইসলাম ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম।

এই মেলা আয়োজনে সহযোগিতা করছে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।

মেলা উদ্বোধন করে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, “পহেলা বৈশাখের দিন বিকাল ৫টার পর সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিলেও এরপর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় ছিল। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু ৫টার পর অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিলে সব সমস্যার সমাধান হবে না।

“যেখানে সাধারণ মানুষ ঘুরছে সেখানেও সমস্যা হতে পারে। তবে এসব ক্ষেত্রে মূল সমস্যা নিরাপত্তা না, মস্তিষ্কের সমস্যা। মনে পাহারা দেওয়া সম্ভব না। এর জন্য সংস্কৃতি চর্চা বাড়াতে হবে।”

জেলা পর্যায়ে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত বইমেলাগুলোতে পাঠক, প্রকাশক উভয়েই লাভবান হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী।

এ বইমেলায় মোট ২১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা, বিদ্যাপ্রকাশ, জার্নিম্যান বুকস্, ভাষাচিত্র, অনিন্দ্য প্রকাশ, একুশে বাংলা প্রকাশ, অ্যাডর্ন পাবলিকেশন, শোভা প্রকাশ, বেঙ্গল পাবলিকেশন্স, শিখা প্রকাশনী, দি স্কাই পাবলিশার্স, অন্যপ্রকাশ, সময় প্রকাশন, তাম্রলিপি, পাঞ্জেরি পাবলিকেশন্স, কাকলী প্রকাশনী, দি ইউনিভার্সেল একাডেমী, সংঘ প্রকাশন, আগামী প্রকাশনী, আহমদ পাবলিশিং হাউজ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

২৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে।