যাচাই ছাড়া ফেইসবুকে পোস্ট নয়: তারানা

কোনো বিষয় অন্ধভাবে বিশ্বাস না করে যাচাইয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2017, 11:57 AM
Updated : 27 April 2017, 11:57 AM

বৃহস্পতিবার স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রতিমন্ত্রী।

ফেইসবুকের পোস্ট অন্ধভাবে বিশ্বাস করে ফেলার প্রবণতা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে তারানা বলেন, “ফেইসবুকে আমি আমার পৃথিবীর রাজা, একটা পোস্ট দিলেন সে বিষয়ে যার কোনো ধারণাই নেই, সেই পোস্ট শেয়ার হতে হতে বিশ্বাস করা শুরু করে এবং এটি নিয়ে আমাদের মত পলিসি মেকারদের কত গলদঘর্ম হতে হয়, বিশ্বাসটা ফিরিয়ে আনতে যে এ প্রচারণাটা ঠিক নয়।”

প্রতিনিয়তই এ ধরনের ঘটনার মুখে পড়তে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “এ রকম অনেকগুলো আমরা ফেইস করেছি। এ জন্য আমি বলব যখনি আপানার ফেইসবুকে পোস্ট দিবেন একটু দেখে নিবেন তথ্যটা সত্য কিনা, একটু পড়ে নিবেন আপনি যে পোস্টটি দিচ্ছেন সেটি কারও ক্ষতির কারণ হতে পারে, কাউকে অযথা সমালোচনার মুখে ঠেলে দিতে পারে, একটু যাচাই করে নেওয়া সকলেরই দায়িত্ব।”

ইন্টারনেট ব্যান্ডউডথের পাইকারি দামের চেয়ে অপারেটরা ভোক্তা পর্যায়ে অনেকগুণ বেশি নিচ্ছে বলে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অভিযোগ উঠছে।

এর প্রেক্ষাপটে গত বুধবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে ইন্টারনেটের মূল্য পুর্ননির্ধারণ সংক্রান্ত সভা থেকে অপারেটরগুলোকে গ্রাহকদের কাছে এবিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

তারানা হালিম বলেন, “অনলাইনে খবর বেরিয়েছিল ইন্টারনেটের দাম নিয়ে, এটি প্রচুর শেয়ার হয়েছে, তখন দেশের বাইরে ছিলাম, ভোক্তা পর্যায়ে কেন দাম কমছে না এটির ব্যাখা চাইলাম অপারেটরদের কাছ থেকে।

“প্রডাকশন কস্ট, ট্যাক্স, ভ্যাট হিসাব করা হয়নি, মধ্যবর্তী কতগুলো লেয়ার আছে। প্রতিটি বিষয় জনগণকে এ  ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে অপারেটরদের। একটাই উদ্দেশ্য এন্ড ইউজার লেবেলে ইন্টারনেটের দাম কমাতে পারি কিনা চেষ্টা করা হচ্ছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম এবং ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মেজর জেনারেল (অব.) এম শাহজাহান, রেজিস্ট্রার এএইচ লুৎফুল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বছর নতুন ভর্তি হওয়া বিভিন্ন বিভাগের ৩৩৭ শিক্ষার্থী এ ল্যাপটপ পাচ্ছেন।