বিচ্ছিন্ন সব এলাকা হবে ডিজিটাল: প্রধানমন্ত্রী

দেশের বিচ্ছিন্ন সব এলাকায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো তৈরি করে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2017, 09:51 AM
Updated : 27 April 2017, 10:00 AM

গণভবন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী’ প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় তিনি একথা বলেন।

দেশের সব অঞ্চলে ডিজিটাল প্রযুক্তি সেবা প্রসারিত করতে আইসিটি বিভাগ ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী’ প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগের সাথে যৌথভাবে কাজ করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), কোরিয়া টেলিকম (কেটি) ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। 

এই প্রকল্প উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা প্রায় কার্যকর করে ফেলেছি। এখন এর আরও উন্নয়ন করতে হবে। … দেশের বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলো ডিজিটাল করে দেওয়া হবে।”

কোরিয়া টেলিকমের গিগা ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহেশখালীতে উচ্চগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। এতে সেখানে ইন্টারনেটনির্ভর সেবার পরিধি বৃদ্ধি পাবে এবং অনলাইনে বিভিন্ন জনসেবা দেওয়া দ্বীপে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। 

শেখ হাসিনা বলেন, “এই দ্বীপে বসে এখন বিশ্বটা হাতের মুঠোয় চলে আসবে। … আমাদের এই অঞ্চলটা বিশাল সম্পদের ভাণ্ডার। কিন্তু, আমরা তা কাজে লাগাতে পারি নাই।”

চর ও হাওরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের দ্রুত উন্নয়নের সরকারের লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরিয়া থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কোরিয়া টেলিকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান চ্যাং গিউ হোয়াং এবং মহেশখালী থেকে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও বাংলাদেশে আইওএমের মিশন প্রধান শরৎ চন্দ্র দাস বক্তব্য রাখেন। 

এর আগে ডিজিটাল মহেশখালীর ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

মহেশখালীর বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রশীদা বেগম এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরীসহ চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল মহেশখালী প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ওই অঞ্চলের চিকিৎসা সেবা আরও সহজ হবে। 

উদ্বোধনীর সময় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক ইমাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং মহেশখালীতে বাংলাদেশে আইওএম কর্মকর্তা পেপ্পি সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।