বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম পরে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
গতবছর গণভোটে যুক্তরাজ্যের জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যান ডেভিড ক্যামেরন। ওই দায়িত্বে আসা টেরিজা মে ইতোমধ্যে ইইউ থেকে বিচ্ছেদের আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনের পর যুক্তরাজ্যই প্রথম দেশ, যারা এই জোট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়াকে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে ব্রেক্সিট।
ইহসানুল করিম জানান, শেখ হাসিনা ও ডেভিড ক্যামেরনের বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগের কথা তুলে ধরে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টিও ক্যামেরন আলোচনায় উল্লেখ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার দল আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিভিন্ন নীতির কথা জানিয়ে বলেন, সে অনুযায়ীই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং সাফল্য অর্জন করছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে বিপুল সংখ্যক মানুষের কাজের সংস্থান হবে বলেও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে জানান তিনি।
ক্যামেরন বলেন, বাংলাদেশের এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সহযোগিতা করতে পারে।
শেখ হাসিনা এ সময় বাংলাদেশ থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্যে কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে ধরে এর সমাধানের ওপর গুরত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের ওই নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশের বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইহসানুল করিম জানান, বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও কথা হয়। শেখ হাসিনা প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অবস্থানের তথ্য তুলে ধরেন এবং তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়।
অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও ঢাকায় ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অ্যালিসন ব্লেক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।