নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী, সংসদের মূল ভবনে ঢোকার সময় কার্ড পাঞ্চ করে ঢুকতে হবে। প্রথম ধাপে শুধুমাত্র প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা এবং ‘ভিআইপি’দের কার্যালয়ে কর্মরত একান্ত সচিব ও সহকারী একান্ত সচিবদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম চালু করা হবে।
একইসঙ্গে সংসদ সদস্যরা যখন সংসদ কক্ষে প্রবেশ করবেন, তখন তাদের কার্ড নির্দিষ্ট মেশিনে পাঞ্চ করে ঢুকতে হবে।
সংসদের কোরাম গণনার সনাতন পদ্ধতির ডিজিটাইজেশন করতে এ নিয়ম করা হবে। এর ফলে স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার ও প্রধান হুইপসহ সংশ্লিষ্টরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোরাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ডিজিটাল এই পদ্ধতি বসানোর জন্য ইতোমধ্যে দুটি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইপিএ) এ ওয়াই এম গোলাম কিবরিয়া।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বর্তমানে এর কারিগরী দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংসদ সচিবালয়ের নিরাপত্তা শাখার এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই কাজের জন্য অনেক ক্যাবল বসাতে হবে। সেই ক্যাবল ইনস্টল করতে গিয়ে যাতে সংসদ ভবনের সৌন্দর্য নষ্ট না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এজন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন।”
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সংসদ সচিবালয় আগামী জুন মাস থেকেই নতুন পদ্ধতি চালু করতে চায়। তবে কারিগরী কাজের জন্য হয়তো আরও কিছুদিন পরে সেটা চালু হবে। প্রথম ধাপের ‘অ্যাকসেস সিস্টেম’ চালু হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে অন্যান্যদেরও এর আওতায় আনা হবে।
দর্শনার্থী ও সাংবাদিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রেও ডিজিটাইজেশন আনার বিয়ষটিও চিন্তা-ভাবনা চলছে বলেও জানান তিনি।
২০১২ সালে প্রথম ‘ডিজিটাল অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেম’ চালু করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে সংসদ সচিবালয়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানায় সংসদের নিরাপত্তা শাখা।
তৎকালীন সার্জেন্ট অ্যাট-আর্মস একেএম ফারুক হাসান (বর্তমানে মংলা বন্দরের চেয়ারম্যান) এই সিস্টেমের ‘স্পেসিফিকেশন’ কাজ করেন।
সম্প্রতি সংসদ সচিবালয়ের মানব সম্পদ শাখা থেকে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা এবং ভিআইপিদের একান্ত সচিব ও সহকারী একান্ত সচিবদের পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রে ফটোকপি এবং বর্তমান পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।