জাতীয় জাদুঘরে যুক্ত হল ‘ভার্চুয়াল’ গ্যালারি

বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যের নিদর্শনকে পুরো দেশ ও দেশের বাইরে তুলে ধরার লক্ষ্যে জাতীয় জাদুঘরে যুক্ত হল ‘ভার্চুয়াল’ গ্যালারি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2017, 08:30 PM
Updated : 25 April 2017, 08:30 PM

জাদুঘরের গ্যালারিতে প্রদর্শিত সব নিদর্শন এবং সংরক্ষণে থাকা নিদর্শনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিদর্শনের  আলোকচিত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ভার্চুয়াল গ্যালারি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের আর্থিক সহযোগিতায় এই ভার্চুয়াল গ্যালারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর  উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি শিল্পী হাশেম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অফিস চলাকালীন স্থায়ী গ্যালারির প্রদর্শনীতে শুধু নির্দিষ্ট সময়ে এই জাদুঘরে রাখা নিদর্শনসমূহ দর্শকদের নিকট উন্মুক্ত বিধায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের জনসাধারণ ও আন্তর্জাতিক মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের তথ্য পৌঁছে না। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে জাদুঘরের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের তথ্যভাণ্ডার সহজলভ্য হচ্ছে না। ভার্চুয়াল গ্যালারি এক্ষেত্রে সহায়ক হবে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরকে দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীর দোরগোড়ায় অত্যন্ত স্বল্প ব্যয়ে পৌঁছে দেওয়া এখন সম্ভব হবে। সব গ্যালারি অ্যানিমেশন আকারে প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে তরুণ প্রজন্ম আরও বেশি আকৃষ্ট হবে।”

তিনি জানান, বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে জাতীয় জাদুঘরের ওয়েবসাইট (http://bangladeshmuseum.gov.bd/vt/) ভিজিট করে জাতীয় জাদুঘরের ৩৬টি গ্যালারির তিন হাজারেরও বেশি নিদর্শন দেখা যাবে।

ভার্চুয়াল গ্যালারিতে প্রতিটি নিদর্শনের আলোকচিত্রের সঙ্গে রয়েছে বিস্তারিত বর্ণনা।

তৌফিক- ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, “বিনোদনমূলক সহজলভ্য এই গ্যালারির মাধ্যমে বাঙালির প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোকে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাদুঘরের এই নতুন সংযোজন সামাজিক টেকসই উন্নয়নে নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা রাখবে।”

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জাদুঘরকে একটি বিশ্বমানের আধুনিক জাদুঘর হিসেবে গড়ে তুলতে প্রযুক্তিগত আরও বেশি উৎকর্ষ হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এটুআই প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান বক্তব্য দেন।