পরিস্থিতি মোকাবেলায় নেত্রকোণায় মাঠ পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদাসীনতার চিত্র উঠে আসার পর রাজধানীতে ‘বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরে’ও একই চিত্র ধরা পড়েছে।
সরকারি একটি কর্মসূচিতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই কর্মকর্তারা কানাডায় অবস্থান করছেন বলে অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক (কৃষি ও মৎস্য) মো. নুরুল আলম জানিয়েছেন।
১৮ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য বিদেশ সফরে থাকা এই কর্মকর্তারা হলেন- হাওর ও জলাভূমি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মজিবুর রহমান, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. নুরুল আমিন,পরিচালক (জলাভূমি) মো. রুহুল আমীন ও উপ-পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ নাজমূল আহসান।
এপ্রিলের শুরুতে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণার হাওরের বোরো ধানের ক্ষেত তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক লাখ পরিবার। ধান নষ্ট হওয়ার পর বিষক্রিয়ায় মারা গেছে হাওরের মাছ, সেখানে চরানো হাঁস।
তিনি মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দেশের বাইরে গেলেও হাওরের বর্তমান পরিস্থিতিতে হাওরাঞ্চলে কাজ করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
অধিদপ্তরের ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ে প্রয়োজনীয় সব কাজ করছেন বলে দাবি করেন তিনি।
অধিদপ্তরের শীর্ষ চার কর্মকর্তা নেহাত ‘বাধ্য হয়েই’হাওর উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিদেশে গেছেন দাবি করে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন,“দুই বার সফর সূচি বদলে শেষবার নির্ধারিত সময়ে মন্ত্রণালয়ের টিমের সঙ্গে তারা গেছেন। তাদের অনুপস্থিতিতে কাজের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।”
হাওর অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ হাওর উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হলেও ১৯৮২ সালে সরকারের এক আদেশে তা বিলুপ্ত হয়।
এরপর ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড আবার গঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর গঠিত হয়।
বর্তমানে ঢাকার গ্রীন রোডে এ অধিদপ্তরের কার্যালয়।