মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম অব্যাহতির সুপারিশ করা পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সায় দিয়ে এই আদেশ দেন বলে ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম জানিয়েছেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি আলোচিত এ মামলায় শাওনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
এরপর ৭ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সাজ্জাদুর রহমান মঙ্গলবার ‘এ চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০১৫ সালের ২৭ মে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭/২ ধারায় মামলাটি করেন মাহি। পরের দিন সকালে দক্ষিণ বাড্ডার বাসা থেকে শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চলচ্চিত্র জগতে মাহিয়া মাহি নামে পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম শারমিন আক্তার নীপা। গত বছরের ২৫মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি।
এর পর থেকেই শাওনের সঙ্গে তার কিছু অন্তরঙ্গ ছবি কয়েকটি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ফেইসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে এই অভিনেত্রীর অভিযোগ।
মামলায় মাহি অভিযোগ করেন, এ ঘটনার সঙ্গে শাওন ছাড়াও তার বন্ধু হাসান, আল আমীন, খাদেমুল এবং শাওনের খালাত ভাই রেজওয়ান জড়িত বলে তার ধারণা।
তবে শাওনের পক্ষ থেকে বলা হয়, মাহির সঙ্গে শাওনের বিয়ে হয়েছিল। তা বলবৎ থাকা অবস্থাতেই মাহি অন্য একজনকে বিয়ে করেন।
মাহির মামলায় শাওনকে গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের হেফাজতে পায় পুলিশ। পরে ২০১৬ সালের ১৬ জুন এক লাখ টাকা মুচলেকায় জামিন পান শাওন।
ডিবির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেদনে বলা হয়, চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপার (মাহিয়া মাহি) সঙ্গে শাহরিয়ার ইসলাম শাওনের বিয়ে হয়। তারা দুজন কিছুদিন সংসারও করেছিলেন।
বিয়ের বিরুদ্ধে মামলায় মাহি কোনো সাক্ষী উপস্থাপন করতে পারেননি। তাই তথ্যগত ভুলের কারণে এ মামলার দায় থেকে শাওনকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করেছে পুলিশ।