মঙ্গলবার রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছরের ১৬ মার্চ কমিশনের এক নোটিসের প্রেক্ষাপটে আসামি সিপার আহমেদ (৪১) তার সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেন।
এতে তিনি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন। এছাড়া জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেছেন।
এসব কারণে বেসিক ব্যাংক গুলশান শাখার সাবেক ইনচার্য সিপার আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন-২০০৪ সালের আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জয়নাল আবেদীন জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদকে দাখিল করা সিপার আহমেদের সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি তার স্ত্রী সাবিহা ইসলামের নামে বাসগৃহ প্রপার্টিজ লিমিটেড থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট কেনার জন্য মানি রিসিটের মাধ্যমে মোট ৯০ লাখ টাকার কিস্তি প্রদান করেছেন, কিন্তু দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫০ লাখ টাকা জমা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
এছাড়া সিপার নিজের নামে একই প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য একটি ফ্ল্যাট ৯০ লাখ টাকায় কিনলেও তা তিনি সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেননি। দুই ফ্ল্যাটে তিনি মোট এক কোটি ৩০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে এজাহারে বলা হয়।
অন্যদিকে সিপার আহমেদের সম্পদ বিবরণী যাচাই করে দেখা যায়, তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মধ্যে এক কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
বাগেরহাটের চিতলমারী বড়বাড়িয়া গ্রামের জাফর আহমেদ উকিলের ছেলে সিপার আহমেদের বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর ধানমন্ডির ১৫ নম্বর রোডের ৬৩ নম্বর বাড়ি। এর আগে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি জেলহাজতে যান।
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের দায়ে করা আরও ২১ থেকে ২২টি মামলায় সিপার আসামি বলে জানান দুদক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন।