‘হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া’ মাহবুব নামে সাকুরার এক কর্মচারীকে চিহ্নিত করারও কথাও জানিয়েছেন জনির বড় ভাই মো. নয়ন আহমেদ।
রোববার মধ্যরাতে একদল লোক সাকুরা বারের সামনে জনিকে (৩২) পিটিয়ে আহত করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে জনির স্ত্রী মর্জিনা আক্তার অজ্ঞাত ২২ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
নয়ন আহমেদ মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনার পর পুলিশ বেশকিছু ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
“সেই ফুটেজে দেখা যায়, জনি ও তার বন্ধু খলিলসহ তিনজন হেঁটে সাকুরায় ঢুকছে। সাকুরায় ঢোকার তিন মিনিট পর তিনজনকে দৌঁড়ে বের হতে দেখা যায়।
“জনিসহ তিনজন দৌঁড়ে বের হওয়ার পরপরই সাকুরার ৩০/৪০ জন কর্মচারীকে তাদের পিছু নিতে এবং মারতে দেখা যায়।”
ঘটনার পর থেকে খলিল এবং খলিলের এক আত্মীয়র খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের পাওয়া গেলে সেদিনের ঘটনা আরও পরিষ্কার জানা যাবে বলে জানান নয়ন।
হামলার সময় জনি তার স্ত্রীকে ফোন করেন বলে জানিয়ে নয়ন বলেন, “তখন জনি তাকে পেটাতে থাকা লোকজনের মধ্যে মাহবুব নামে সাকুরার এক কর্মচারীর নাম বলতে থাকেন।”
জনি শাহবাগে ফুলের ব্যবসার পাশাপাশি ঢাকা মহানগর যুবদলের ২১ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সহ-সভাপতি ছিলেন দাবি নয়নের।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান মঙ্গলবার দুপুরে জানান, এই হত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
তিনি জানান, ঘটনার পর সাকুরার ৪০ জন কর্মীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
“এদের মধ্যে ২১ জনকে ওই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিন রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আসামিদের হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কারণ জানা যাবে।”
আটকদের মধ্যে বাকি ১৯ জনের অধিকাংশকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি।
জনি হত্যার ঘটনায় পাওয়া ভিডিও ফুটেজের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক বলেন, “অনেক তথ্য-উপাত্তই পুলিশ সংগ্রহ করেছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে তবেই প্রকৃত অপরাধীকে সনাক্ত করা হবে।”
জনির বাড়ি মুন্সিগঞ্জের রাজানগরে। তার পরিবার বর্তমানে রাজধানীর কল্যাণপুরে থাকে। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে জনি ছিলেন দ্বিতীয়।