মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ‘বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ শামসুল আলম এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এই বিদ্যালয়গুলো সরকারিকরণের সমস্ত ধাপ সঠিকভাবে পার করলেও, জাতীয়করণের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।
“আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে আবেদন জানাতে চাই যে, এই সব বিদ্যালয়ের জাতীয়করণের কাজ যাতে এবছরই সম্পন্ন হয়।”
শামসুল আলম জানান, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ঘোষণায় ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ ও কর্মরত শিক্ষকদের সরকারিকরণের ঘোষণা দেন । কিন্তু নানা জটিলতার কারণে প্রায় ছয় হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে যায়।
বাদ পড়া এসব বিদ্যালয় জাতীয়করণ ও শিক্ষকদের সরকারিকরণের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে- ৩ মে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, ১৫ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত ৬৪টি জেলার প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি এবং ১০ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন ও বিদ্যালয় জাতীয়করণে মাননীয় শেখ হাসিনার ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক।
বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সমন্বয়কারীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।