সোমবার ঢাকায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে চারশ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় তাদের এ মতামত আসে বলে ব্রাইটার টুমোরো ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সাইকিয়াট্রিস্টের মহাসচিব ডা. মোহিত কামাল কর্মশালায় বলেন, “সুস্থ থাকার জন্যে মনের যত্ন নিতে হবে। মনকে সুস্থ রাখতে হলে শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে ও ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে।”
আত্মহত্যা প্রতিরোধের প্রত্যয় নিয়ে গত দুই বছর ধরে কাজ করে আসা ব্রাইটার টুমোরো ফাউন্ডেশনের সভাপতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাংবাদিক জয়শ্রী জামান জানান, বিষণ্নতা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীদের নিয়ে এই কর্মশালার উদ্দেশ্য।
কর্মশালায় ‘মনের যত্ন নেওয়া ও মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা থেকে বাঁচার উপায়’ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’- গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে শিশুশিল্পী মেঘলা, মালিহা, তমা, আনুস্কা ও জারা। নৃত্য পরিচালনা করেন বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম ও ডা. ফারজানা রহমান দিনা, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দা তানজিনা ইমাম, ব্রাইটার টুমোরো ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক এফবিসিসিআইয়ের উপ-সচিব জাকারিয়া আল মাহমুদ এবং ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ বাসসের উপ-প্রধান বার্তা সম্পাদক রুহুল গণি জ্যোতি আলোচনায় অংশ নেন।
‘মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা থেকে বাঁচার উপায়’ শীর্ষক এই কর্মশালায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ব্রাইটার টুমোরোর পক্ষ থেকে উপহারও দেওয়া হয়।
২০১৪ সালে নিজের দুই কিশোর বয়সী ছেলেমেয়ের আত্মহত্যার পর সাংবাদিক জয়শ্রী জামান সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে গড়ে তোলেন ‘ব্রাইটার টুমোরো’।
২০১৫ সালের ২৮ মে আত্মপ্রকাশের পর থেকে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংগঠনটি।