পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, কর্মহীন থাকার প্রমাণ নিয়ে কেউ হাজির হলে তারা চাকরিরর ব্যবস্থা করবেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়লে সেখানে থাকা পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকসহ ১১০০ জনের বেশি প্রাণ হারায়। আহত হন হাজারের বেশি শ্রমিক।
একশন এইড গত ২২ এপ্রিল এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানায়, আহত শ্রমিকদের ৪২ শতাংশ চার বছর পরও বেকার আছেন। এর ২৬ শতাংশ জীবিকার জন্য কোনো পরিকল্পনা করতে পারছেন না।
সোমবার জুরাইন কবরস্থানে নিহত শ্রমিকদের কবরে ফুল দিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর একশন এইডের তথ্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে বলেন, প্রমাণ নিয়ে আসলে শ্রমিকদের চাকরি দিতে প্রস্তুত তারা।
“ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফান্ডে এখনও মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পড়ে আছে। আমরা প্রমাণের অভাবে বিতরণ করতে পারছি না। অনেকে আসেন, কিন্তু পর্যাপ্ত প্রমাণ তাদের কাছে নেই। সে কারণে টাকাও বিতরণ করতে পারি না।”
রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর ২০১৪ সালে বিদেশি ক্রেতা ও কয়েকটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন হতাহতদের পরিবারকে সহায়তা দিতে ৪ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল।
পরে রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) গঠিত ‘ডোনার ট্রাস্ট ফান্ডে’ এক কোটি ৭০ লাখ ডলার অনুদান দেয় বিশ্বের বিভিন্ন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান, যার কিছু অংশ বিতরণ করা হয়েছে।
রানা প্লাজার আহত এক হাজার ৪০৩ জন শ্রমিকের ওপর জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে একশন এইড। গবেষণায় ৬০৭ জন মৃত শ্রমিকের পরিবারকেও নমুনা হিসেবে নেওয়া হয়।
সিদ্দিকুর বলেন, “এই প্রতিবেদনের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণরূপে দ্বিমত পোষণ করছি। রানা প্লাজায় আহত কোনো শ্রমিক এখনও বেকার নেই। যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে যে সে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত, তাহলে তার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা বিজিএমইএ করবে।
“বিজিএমইএর পক্ষ থেকে আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, অনেকে এসেছে, তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনও কেউ আসলে চাকরির ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি আমরা দিচ্ছি।”
জুরাইন কবরস্থানে বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি, মাহমুদ হাসান খান বাবু, পরিচালক মনির হোসেন, আ ন ম সাইফুদ্দিন, আনোয়ার কামাল পাশাসহ সংগঠনটির নেতারা ছিলেন।