শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার’র সমাপনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “আমাদের পর্যটন শিল্পকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে সৃজনশীলতার বিকল্প নেই, সৃজনশীলতার মাধ্যমে আমরা আর্থিকভাবেও লাভবান হতে পারব।
"একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ বিদেশি দর্শনার্থী বাংলাদেশে আসে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো দেখতে। তবে পর্যটকরা, বিশেষ করে পশ্চিমারা ব্যতিক্রমী কিছু দেখতে চায়। তাই পর্যটনকে ব্যতিক্রমী করে তুলতে হবে।”
এসময় ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ ভ্রমণের ভিন্ন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে নূর বলেন, “শুধু কক্সবাজারকেই পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উপস্থাপন না করে, পর্যটনকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা যায়।”
ঢাকায়ও পর্যটনের নতুন মাত্রা সংযোজন করা যায় মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের ভিন্নভাবে ভাবতে হবে। পর্যটনে ভিন্নতা আনতে হবে।
“পর্যটকরা কি চায়, তাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন সংযোজন আনতে হবে পর্যটনে। সেক্ষেত্রে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ও সাহায্য করতে পারে।”
বাংলাদেশের সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধশালী মন্তব্য করে এক সময়ের অভিনেতা নূর বলেন, “আমরা চাইলেই পর্যটকদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হব। সেদিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত।”
‘ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদশ’ (টোয়াব) এ মেলার আয়োজন করে।
এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ মোট ১৪টি দেশের বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্ট ও বিমান সংস্থার ২৮টি প্যাভিলিয়ন ও ১৪০টি স্টল অংশ নেয়।