শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরার আজমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী সমাবেশে’ এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক কোনো দিন জঙ্গি হতে পারে না। কারণ, তারা খাঁটি মুসলমান। তারাই আমাদের শিক্ষা দেন। তারা শিক্ষা দেন বলেই আজকে বাংলাদেশের মানুষ… আমরা যেটা বলছি, ধর্মপ্রাণ মুসলমান।”
গত ১১ এপ্রিল গণভবনে কওমির আলেমদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসার কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর দুদিনের মধ্যে স্বীকৃতির গেজেটও জারি করে সরকার।
বাংলাদেশে কয়েক ধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় কওমি মাদ্রাসার সনদের এ ধরনের স্বীকৃতিতে শিক্ষাবিদ অনেকের বিরোধিতা রয়েছে। জঙ্গিবাদের বিস্তার রোধে মাদ্রাসা শিক্ষা বিলুপ্তির দাবিও রয়েছে।
এর মধ্যে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন না এনে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের দাবি মেনে এ স্বীকৃতি জঙ্গিবাদে উৎসাহ যোগাবে বলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা'আত ও ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন মহল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
তবে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি আয়োজিত এই সমাবেশ থেকে জঙ্গিবাদ দমনে কওমির ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর আস্থা রাখার কথা বলে তাদের সহযোগিতা চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল।
“আপনারাই পারবেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে একত্র হয়ে এই জঙ্গি দমনে সহযোগিতা করার জন্য। সেই সহযোগিতা আমরা চাচ্ছি আপনাদের কাছে।”
জঙ্গি সন্ত্রাসীরা মুসলমান হতে পারে না মন্তব্য করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় দেশে কোনো জঙ্গিবাদ থাকবে না বলে জানান আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।