শাস্তির মুখে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৭ কর্মকর্তা

দায়িত্বে অবহেলা, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসদাচরণের অভিযোগে সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) সালাহউদ্দিন মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2017, 01:03 PM
Updated : 20 April 2017, 01:06 PM

বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে মাসিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা জানান।

সালাহউদ্দিন বলেন, “কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়া এমনটা (বিভাগীয় ব্যবস্থা) হয় না। তাদের বিরুদ্ধে চাকরির রুলস অনুযায়ী ডিউটি পালন না করার অভিযোগ আছে। যথাযথ দায়িত্ব পালন না করা, কাজে অবহেলা, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরণের কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এটা চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবে।”

মাদকের সঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে অর্থায়নের যোগ থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “এগুলো পারস্পরিক সম্পর্কিত, পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে চলে।

“মাদক থেকে অর্জিত অর্থ দিয়েই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের প্রসার ঘটছে। ফলে এগুলোকে সমূলে উৎপাটিত করতে হবে। এগুলো বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।”

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের অস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি সুপারিশ জানান মহাপরিচালক সালাহউদ্দিন।

“আমাদের লোকেরা যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে, তাদেরও অস্ত্র থাকা দরকার। সেটা মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবেচনার মধ্যে আছে। মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি সুবিবেচনার মধ্যে রেখেছে।”

রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে বৈধ বারে অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, “বৈধ বারে অভিযান হতেই পারে। তারা টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন ভঙ্গ করে কোনো কাজ করলে তা তো এলাউ করা হবে না।”

মাদকের প্রসার রোধে সন্তানদের বিষয়ে অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন সালাহউদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে গত মার্চ মাসে দেশব্যাপী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানের তথ্য জানানো হয়।

অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস ও গোয়েন্দা) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন জানান, গত মাসে ৩৫ লাখ ১৬ হাজার ৬১৯টি ইয়াবা এবং ৫ হাজার ৮২৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক বেচা-কেনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৮ হাজার ৭১৯টি মামলা হয়েছে এবং এতে আসামি ১১ হাজার ১০৩ জন।

সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা ও পুনর্বাসন) মো. মফিদুল ইসলাম, পরিচালক (নিরোধ শিক্ষা) কে এম তারিকুল ইসলাম, গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম সিকদার, ঢাকা মেট্রোপলিটন উপ-অঞ্চলের উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা উপস্থিত ছিলেন।