‘দ্য হিস্টোরি অব বেঙ্গল: রিডিং দ্য পাস্ট’ শিরোনামে বুধবার গুলশানে বিমসটেক সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত দশম বিমসটেক গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন প্রধান আলোচক হিসেবে মৌর্য সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ইতিহাস আলোচনা করেন।
বিমসটেককে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের ইতিহাস জানার উপর গুরুত্ব আরোপ করে সুমিত নাকানডালা বলেন, “বিমসটেক মূলত বে অব বেঙ্গল-এর এলাকাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য একটি উদ্যোগ। বাংলাদেশের মূল ইতিহাস যদি সঠিক না জানা থাকে তবে বঙ্গোপসাগরের এলাকা দিয়ে কিছুই করা সম্ভব নয়।”
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশের জোট বিমসটেক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবহন ও যোগাযোগ, পর্যটন, মৎস্য, কৃষি ইত্যাদির মতো উন্নয়ন ও অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট মোট ১৪টি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছে।
বাংলাদেশে এই ১৪টি খাতেই অনেক কাজ বাকি আছে মন্তব্য করে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা আজ যা, তা অবশ্যই আগে কী ছিলাম তার ধারাবাহিকতা।”
এই প্রশ্নের জবাবে হেসে আনোয়ার হোসেন বলেন, “ওই সময়ের মতো ম্যাজিকাল বা মিরাকুলাস কিছু এখন এই দেশে করা সম্ভব সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে।
“আমি বলছি না আমাদের দেশে গভর্নেন্স নেই, তবে আমাদের অনেক পিটফলস আছে। আমাদের গুড গভর্নেন্সের অভাব।”
গোলটেবিল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব দিল্লি প্রসাদ আচার্য, জাপান দূতাবাসের সচিব শিমকইয়দা তাকাশি, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মো. শফিউল্লাহ।