ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে আমদানি চালানের উদ্বোধন হবে।
হাসিনার সফর সামনে রেখে সরকারি আমন্ত্রণে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশের একদল সাংবাদিকের সঙ্গে শুক্রবার সকালে আলাপকালে এ তথ্য জানান ভারতের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
গত বছর জরুরি পরিস্থিতিতে স্বল্প সময়ের অনুরোধে ত্রিপুরায় তেল পরিবহনের অনুমতি দেওয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
শুক্রবার বেলা ১২টায় চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি পৌঁছেন হাসিনা। সাত বছর পর তার এই সফর দেশটির সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, পরমাণু বিদ্যুৎ, বিজ্ঞান ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিন ডজন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
এর মধ্যে শনিবার দুদেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিতিতে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির উদ্বোধন হবে। প্রথম চালানে ২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ডিজেল পরিবহন করা হবে।
ভারতের জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর দুদেশের সম্পর্ককে নিশ্চিতভাবে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”
যৌথ গবেষণা ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে প্রতিবেশী দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “তিস্তা ইস্যুর সমাধান হবে। কিন্তু আমাদের ফেডারেল সরকার কাঠামোর কারণে এটা সমাধান করতে রাজ্য সরকারকেও সঙ্গে রাখতে হবে।”
২০১৫ সালের এপ্রিলে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মধ্যে ১৩৯ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণে চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, এনআরএলের শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে পার্বতীপুর বিপিসি ডিপো পর্যন্ত ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন স্থাপিত হবে। তবে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রেল অয়েল ট্যাঙ্কারে করে তেল আনা হচ্ছে।
এর আগে গত বছর মার্চে ২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ডিজেলের চালান দিনাজপুর দিয়ে বাংলাদেশে আসে।