ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিতার্কিক ও দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “নারীর ক্ষমতায়ন কি খুব বেশি ঝূকিপূর্ণ?”
এসময় দর্শকরা সমস্বরে ‘না’বলে উত্তর দেন।
‘নারীর ক্ষমতায়নই গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে সু লাও বলেন, “একজন ক্ষমতাবান নারী হিসেবে, জাতিসংঘের একটি সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে আমি এখানে এসেছি।
“এখানকার বিতার্কিকরা কুসংষ্কার দূর করার কথা বলেছেন, শিক্ষার প্রসারের কথা বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলেছেন- যার মাধ্যমে আমরা এক ধরনের দিক নির্দেশনা পাই।”
তবে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে ৫০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিলেও সেখানে নারী ছিলেন মাত্র ৩৫০ জন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ। আর রানার্স আপ হয়েছে ঢাকার রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল ও কলেজ।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের শিক্ষক রওনক জাহান, এফবিসিসিআই পরিচালক হাসিনা নেওয়াজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক নাজমা শাহিন।
গত ২১ ও ২৪ জানুয়ারী এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়। পরে ৫ ফেব্রয়ারি দেশের ৮টি বিভাগ থেকে আট শতাধিক কলেজ এতে অংশ নিতে নিবন্ধন করে।
খুলনা বিভাগ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা। এরপর প্রতিটি বিভাগে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৮টি দল সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, উবিনির প্রতিষ্ঠাতা ফরিদা আক্তার।