চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ যে দেশে হাত বদল হয়েছিল, সেই ফিলিপিন্সে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে লিগ্যাল অ্যাটাশে এফবিআই কর্মকর্তা ল্যামন্ট সিলার বুধবার ম্যানিলায় একথা বলেন বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই সাইবার হামলায় কোন দেশ জড়িত তা বলেননি সিলার। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ওই ঘটনার জন্য কমিউনিস্ট রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার দিকে ইঙ্গিত করেন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভুয়া সুইফট বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্কে রাখা বাংলাদেশের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের রিজল ব্যাংকে পাঠানো হয়েছিল। ওই অর্থ পরে জুয়ার টেবিলে চলে যায়।
ওই ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশের নিযুক্ত করা সিলিকন ভ্যালির সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআইও সে সময় এই সাইবার চুরিতে উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তানের দুটি হ্যাকার গ্রুপের সম্পৃক্ততার তথ্য ফরেনসিক পরীক্ষায় পাওয়ার কথা জানিয়েছিল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা ওই ঘটনায় একটি মামলা সাজাচ্ছেন, যাতে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে রিজার্ভ চুরির পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনার অভিযোগ আনা হতে পারে। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আসামি করা হতে পারে কয়েকজন চীনা নাগরিককে।
গত বছর ফিলিপিন্সের সিনেট কমিটিতে এই ঘটনার তদন্তে একজন চীনা ক্যাসিনো মালিক বলেন, ফেব্রুয়ারিতে বড় ধরনের দুই চীনা জুয়াড়ির কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার পান। চুরি করে ঢাকা থেকে ম্যানিলায় এই অর্থ আনার জন্য ওই দুজন দায়ী।
এই সাইবার হামলায় জড়িতরা যাতে পার না পায় সেজন্য এফবিআই ফিলিপিন্স সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলে জানান সিলার।
“এফবিআইয়ে আমাদের কাছে এটা কখনও শেষ হওয়ার নয়। ওই সব ব্যক্তিদের আমরা বিচারের মুখোমুখি করছি যাতে অন্যদের দেখাতে পারি যে, তুমি এ ধরনের হামলা চালাতে পার, এমনকি রাষ্ট্রীয় মদদে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুমি পার পাবে না।”