জঙ্গিবাদ নির্মূলে সংস্কৃতি চর্চা বড় হাতিয়ার: সংস্কৃতিমন্ত্রী

সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া জঙ্গিবাদ নির্মূলে সংস্কৃতি চর্চা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2017, 11:51 AM
Updated : 28 March 2017, 11:51 AM

তিনি বলেন, “আমরা মানবের সমাজ গড়তে চাই, দানবের নয়। অন্ধকারের এসব শক্তির বিনাশে, তাদের রক্তবীজ নির্মূলে সংস্কৃতি চর্চাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।”

মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের আয়োজনে দুইদিনের আন্তর্জাতিক সংগীত উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সিলেটে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান এবং বোমা হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সারা দেশব্যাপী জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সংস্কৃতি চর্চাকে আরও জোরদার করার কোনো বিকল্প নেই।

“আমরা বিপুল গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে ছুটে চলেছি। কিন্তু অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃতির চর্চাও বাড়াতে হবে। তা না হলে আমরা যে মানবিক বাংলাদেশের কথা বলছি, তা পাব না।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতি চর্চায় ‘মাঝখানে বেশ খরা ছিল’ মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের কার্যক্রমের মাধ্যমে সে খরা কেটে এখন এখানে বসন্ত বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মেলক গান ‘আনন্দধ্বনি জাগাও গগনে’ পরিবেশন করে সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ গানের সঙ্গে সঙ্গে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়।

সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক অণিমা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলী এফ এম রেজোয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান এবং ট্রেজারার মো. সেলিম ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, এক সময় পুরান ঢাকার এ অঞ্চল শিল্প সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন নানা কারণে তা পিছিয়ে পড়েছে। শিল্প সংস্কৃতির চর্চা এখান থেকে সরে যেতে যেতে ঢাকার উত্তরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের দিকে চলে গেছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ওই আয়োজন পুরান ঢাকা অঞ্চলে আবার শিল্প সংস্কৃতির জাগরণ ঘটাতে অবদান রাখবে বলেও মন্তব্য করেন উপাচার্য ।

অনুষ্ঠানে পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরীকে সম্মাননা জানানো হয়।

আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে আমন্ত্রিত শিল্পী শাহীন সামাদ, শামা রহমান, সামিনা চৌধুরী ও সফি মণ্ডল এবং ইন্দোনেশিয়া, চীন ও ভারত থেকে আসা শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।