বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমওয়েলথ বিষয়ক দপ্তরের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি সাইমন ম্যাকডোনাল্ড মঙ্গলবার এই স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় তারা প্রথমবারের মতো এই ধরনের আলোচনায় বসেন। আলোচনায় দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় স্থান পায়।
ব্রেক্সিটের পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিদায়ের প্রস্তুতির মধ্যে এই চুক্তি হলো। ইউরোপিয় ইউনিয়নের পর যুক্তরাজ্য হচ্ছে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির তৃতীয় বড় বাজার, যেখানে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ।
মার্চের শুরুতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল বিষয়ক মন্ত্রী অলোক শর্মার ঢাকা সফরের সময় দুই দেশ এই কৌশলগত আলোচনা অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত হয়।
সে সময় অলোক শর্মা বলেছিলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে গেলেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
কৌশলগত আলোচনা দুই দেশের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ছে, কৌশলগত আলোচনায় বসার আগে সফররত যুক্তরাজ্যের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি ম্যাকডোনাল্ড বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এসময় তিনি মাহমুদ আলীকে যুক্তরাজ্য সফরে তার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন।
দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত আলোচনা সফল হবে বলে বৈঠকে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।