ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহমান সরদার বেলা ১১টার পর এ মামলার রায় ঘোষণা করবে।
দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে গত ২০ মার্চ বিচারক রায়ের জন্য ২৮ মার্চ দিন রাখেন বলে ট্রাইব্যুনালের পেশকার আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতে পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোডের বাসায় খুন হন ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ (৭৮)। পরদিন সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের শ্যালক মনোয়ার আহমদ সাগর ওই ঘটনায় রামপুরা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত চলাকালে আফতাবের গাড়ি চালক মো. হুমায়ুন কবীরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করার সময় বাধা দেয়ার কারণেই আফতাবকে হত্যা করা হয় বলে সে সময় তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তদন্ত শেষে পরের বছর ২৫ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেন র্যাব-৩ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশিক ইকবাল।
হুমায়ুন ছাড়া এ মামলার বাকি পাঁচ আসামি হলেন- মো. বিল্লাল হোসেন, হাবিব হাওলাদার, মো. রাজু মুন্সি, মো. সবুজ খান ও মো. রাসেল। তাদের মধ্যে রাসেল ও সবুজ পলাতক, বাকিরা কারাগারে আছেন। হাবিব, বিল্লাল ও হুমায়ুন তদন্তের সময় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।
ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু করেন। দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারায় ‘ডাকাতি করতে গিয়ে হত্যার’ অভিযোগ আনা হয় ছয় আসামির বিরুদ্ধে।
ওই আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মাস দেড়েক আগে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে। আসামিপক্ষে মামলা লড়েন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সাবেক সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২০ জনের সাক্ষ্য শুনেছে আদালত। আসামিপক্ষ কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি।
আফতাব আহমেদের আলোকচিত্র সাংবাদিকতার শুরু ১৯৬৪ সালে, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায়। ২০০৬ সালে তিনি অবসরে যান। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তাকে একুশে পদক দেওয়া হয়।