র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
“সারা শরীরের বোমার স্প্লিন্টার ছাড়াও চোখের ভেতর দিয়ে মাথায় যে স্প্লিন্টার ঢুকেছে, সেটাই সবচেয়ে গুরুতর বলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।”
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার শিববাড়ির জঙ্গি আস্তানার কাছে শনিবার সন্ধ্যার পর বিস্ফোরণে আহত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়।
এর আগে ঘটনার দিন রাতেই তার শরীরে কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পরে ওই রাতেই তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় সিএমএইচে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি না হওয়ায় পাঠানো হয় সিঙ্গাপুরে।
একই সময় আহত র্যাব কর্মকর্তা মেজর আজাদকে ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা উন্নতির দিকে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শিববাড়িতে একটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পর তা ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরদিন ঢাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম, সোয়াট ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে যান।
প্রায় ৩০ ঘণ্টা আতিয়া মহল নামে ওই বাড়ি ঘিরে রাখার পর শনিবার সকালে চূড়ান্ত অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দল। অভিযান শুরুর ৪৮ ঘণ্টা পর ইতোমধ্যে বাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা।
ইতোমধ্যে সেখানে থাকা চার জঙ্গি নিহত হলেও আতিয়া মহলে তাদের স্থাপন করা বিস্ফোরক অপসারণ না হওয়ায় সোমবার রাত পর্যন্ত অভিযানের সমাপ্তি টানেনি সেনাবাহিনী।