সোমবার সন্ধ্যায় তুরস্কের প্রধানমন্তী শেখ হাসিনাকে ফোন করেন বলে তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন।
দুই প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১৫ মিনিট আলাপ করেন জানিয়ে ইহসানুল করিম বলেন, আলাপে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সিলেটে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেন এবং হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানান।
জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতেও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী।
তিন দিনের অভিযানে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় জঙ্গি আস্তানার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। অভিযানের মধ্যেই শনিবার সন্ধ্যায় আতিয়া মহল থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে এক জায়গায় দুই দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন নিহত হন।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে পুলিশ শিববাড়ি পাঠানপাড়ার ওই ভবন ঘিরে ফেলার পর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও সোয়াট ঘটনাস্থলে গেলে চূড়ান্ত অভিযান পরিচালনা কর সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা।
প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুল হাসানের নেতৃত্বে সেনা অভিযানে ইতোমধ্যে চার জঙ্গিকে হত্যা করে আস্তানাটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হলেও ওই ভবনে জঙ্গিদের স্থাপন করা বিস্ফোরক অপসারণ করা হয়নি এখনও।
গত বছর তুরস্কের বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অভ্যুত্থান অপচেষ্টার নিন্দা প্রকাশ করার কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা শান্তি ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রেখেছি।”
সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণও জানান শেখ হাসিনা।
ফোনালাপের শুরুতেই তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং দেশের ৪৭তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও একই কথা উল্লেখ করেন।