এনআইডি ভবনের নিরাপত্তা জোরদারের তাগিদ

দেশের ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের তথ্য ভাণ্ডারের নিরাপত্তা জোরদারে প্রকল্প কার্যালয়ে সশস্ত্র পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2017, 03:53 PM
Updated : 27 March 2017, 03:53 PM

সাম্প্রতিক সময়ে আবারও জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ইসি সচিবালয়ের সেবা শাখার একজন কর্মকর্তা সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব বরাবর এই চিঠি পাঠান।

ইসি সচিবালয়ের আওতাধীন ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ)’ শীরোনামের এই প্রকল্পের কার্যালয় আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে। এ প্রকল্পের অধীনেই ছবিসহ ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার রয়েছে।

জাতীয় এ তথ্য ভাণ্ডারে দেশের ১০ কোটির বেশি ভোটারের বায়োমেট্রকসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে; যা রাষ্ট্রের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

বিভিন্ন সময়ে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী এ প্রকল্পের সহায়তা নিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বায়োমেট্রিক যাচাই করে তাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, “গত ১৭ মার্চ ঢাকার উত্তরার আশকোনোয় র্যা বের নির্মাণাধীন কার্যালয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে, যা বিশেষভাবে উদ্বেগের বিষয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি আক্রমণ হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এরূপ হামলার শঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে সারাদেশে সরকারি স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।”

বিভিন্ন সময়ে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তে আইডিইএ প্রকল্প সহায়তা করছে বলে ‘এ প্রকল্পের তথ্যভাণ্ডারে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা বাড়ছে’ বলে মনে করছে ইসি সচিবালয়।

ইসি বলছে, বর্তমানে এ প্রকল্পের নিরাপত্তায় মাত্র পাঁচজন আর্মড পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসার কর্মরত। নিরাপত্তা বিধানে এ সংখ্যা অপ্রতুল। তথ্য ভাণ্ডারের নিরাপত্তায় থাকা পাঁচজন পুলিশ ও আনসারের মধ্যে কেউ ছুটিতে থাকলে তিনজন দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

এ অবস্থায় আইডিইএ প্রকল্পের কার্যালয়ে ‘জাতীয় তথ্য ভাণ্ডারের রাষ্ট্রীয় সম্পদ’ রক্ষায় অন্তত দশজন সশস্ত্র পুলিশ সদস্য মোতায়েনের ব্যাবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে ইসি সচিবালয়।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে তাগিদ

রোকেয়া সরণি থেকে নির্বাচন ভবন পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকেও চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ইসির সহকারী সচিব আরাফাত আরা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, রোকেয়া সরণি থেকে নির্বাচন ভবন পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে অবৈধ স্থাপনা, গাড়ি পার্কিং, টং দোকান, হকার থাকার কারণে আগারগাঁওয়ের নতুন ভবনে আসা-যাওয়ার সময় সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা প্রচণ্ড যানজটে পড়েন এবং তাতে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা থাকে।

এ অবস্থায় রোকেয়া সরণি থেকে নির্বাচন ভবন পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে ইসি।