সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিশনের আয়োজনে ‘সততা সংঘের সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে’ শপথ পড়ানো হয় ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের।
শপথ পড়ানোর পর ইকবাল মাহমুদ বলেন, “তোমাদের কাছে আমাদেরও শপথ করা উচিত। তোমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলছে, দেশে যারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মদদ দিচ্ছে, যারা মাদক ব্যবসা ও দুর্নীতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অব্যাহত সংগ্রাম চলছে।
“তোমাদের ভবিষ্যৎকে আমরা মসৃণ করব- এটাই আমাদের শপথ, এটাই আজকে আমাদের অঙ্গীকার।”
দুর্নীতি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘সততা সংঘ’ গড়ে তোলা হয়েছে দুদকের উদ্যোগে।
২১ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘সততা সংঘ’ সক্রিয় রয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক একই সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে সবাইকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান ইকবাল মাহমুদ।
নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা তোমাদের (শিক্ষার্থী) ভবিষ্যৎকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে পারি না। আমরা নিরন্তর যুদ্ধ করব।
“আমরা কারও পরিচয়ের দিকে তাকাব না। জনসাধারণের সমর্থন নিয়ে ওই তিন বিষবৃক্ষকে আমরা উপড়ে ফেলতে চাই।”
শিক্ষার্থীদের মনপ্রাণ দিয়ে ‘মানুষের মতো মানুষ’ করতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীরা আমানত। আমরা চাই না আপনারা শুধু আমাদের বাচ্চাদের জিপিএর দিকে ও কোচিং সেন্টারের দিকে ঠেলে দেবেন।
“দিন আসছে, এই দেশের হয়ত কোচিং সেন্টার থাকবে না, গাইড বই পাওয়া যাবে না। শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের গাইড হবেন।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দুদকের কমিশনার নাসিরউদ্দীন আহমেদ ও এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, মহাপরিচালক মো. শামসুল আরেফিন, আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হাসিবুর রহমান, একই স্কুলের শিক্ষার্থী ও সততা সংঘের সদস্য মনিহা রহমান তন্ময়, উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সংঘের সদস্য দেবাশীষ বিশ্বাস।