শিলংয়ে বিএসএফ এর আসাম-মেঘালয় কমান্ড বেইজের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, সিলেটের ওই অভিযানের কারণে জঙ্গিরা পালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
“বাংলাদেশে যখন তারা চাপে থাকে তখন ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে বলে আমরা আগের অভিজ্ঞতায় দেখেছি। এটা একটা সাধারণ প্রবণতা। এ কারণেই আসাম-মেঘালয় সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে।”
আসাম গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান পল্লব ভট্টাচার্যও সীমান্ত ও তার রাজ্যে নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন।
তিনি বলছেন, গত ছয় মাসে ‘বাংলাদেশ থেকে প্রবেশ করা ৭০ জনের বেশি জঙ্গিকে’ আটক করেছে আসাম পুলিশ।
“আমাদের কেবল সীমান্তে সতর্কতা বাড়ালে চলবে না। অবৈধ অভিবাসীদের কিছু আখড়ায় নজরদারি বাড়াতে হবে, যেখানে জঙ্গিরা আশ্রয় পায়।”
ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীকে প্রিমত খিশা নামের এক অস্ত্র চোরাকারবারির বিষয়েও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি ডাউকি-তামাবিল সীমান্তে সক্রিয় বলে গোয়েন্দাদের ধারণা।
উলফার মত ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং জেএমবির মত জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে প্রিমত খিশার বিরুদ্ধে।