হলি আর্টিজানের গ্রেনেড ‘সরবরাহের কথা স্বীকার’ মিজানের

গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গ্রেনেড ‘সরবরাহের কথা স্বীকার করে’ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নব্য জেএমবির মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2017, 02:06 PM
Updated : 26 March 2017, 02:06 PM

মিজানই এই জঙ্গি সংগঠনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী চক্রের প্রধান বলে পুলিশের ভাষ্য।

মিজান রোববার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত মহানগর হাকিম নূর নবীর খাসকামরায় জবানবন্দি দেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালতের পুলিশ কর্মকর্তা এসআই ফরিদ মিয়া জানান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হলি আর্টিজানে ব্যবহৃত অস্ত্র-গ্রেনেড কীভাবে কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে তার পরিষ্কার বর্ণনা দিয়েছে বড় মিজান।”

গত বছরের ১ জুলাই রাতে অস্ত্র-বিস্ফোরক নিয়ে ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় নব্য জেএমবির জঙ্গিরা। তাদের ঠেকাতে গিয়ে গ্রেনেড হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।

পরদিন ভোরে সেনা কমান্ডো অভিযান শেষে বেকারির ভেতর থেকে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নিহত হন হলি আর্টিজানের পাচক সাইফুল ইসলাম ও পাঁচ জঙ্গি। উদ্ধার করা হয় একটি একে-২২ রাইফেল ও বিস্ফোরকসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র।

মিজানকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বনানী রেল ক্রসিং থেকে গ্রেপ্তারের পর দারুসসালাম থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের একটি মামরায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর হলি আর্টিজানের মামলায় দুই দফা রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা।

পুলিশ বলছে, মিজান আগে জুনুদ আল তাওহীদ নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের প্রধান সামরিক কমান্ডার ছিলেন। পরে তামিম চৌধুরীর মাধ্যমে তিনি নব্য জেএমবিতে যোগ দেন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ এলাকায় অস্ত্র চোরাচালানের একটি চক্র গড়ে তোলেন। নব্য জেএমবির প্রায় সব অস্ত্র, ডেটোনেটর ও জেল ওই চক্রই সরবরাহ করে আসছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির রোববার মিজানকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করেন।

স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হওয়ায় তাকে মহানগর হাকিমের খাস কামরায় নেওয়া হয়।