রোববার বিকালের মধ্যে তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
শনিবার সন্ধ্যার পর বিস্ফোরণে আহত আবুল কালাম আজাদের শরীরে কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। মধ্যরাতে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।
একই ঘটনায় আহত মেজর আজাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে এবং তাকে ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে মুফতি মাহমুদ জানান।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমা শিববাড়িতে একটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পর তা ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরদিন ঢাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম, সোয়াট ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে যান।
প্রায় ৩০ ঘণ্টা ওই বাড়ি ঘিরে রাখার পর শনিবার সকালে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দল। ওই বাড়িতে আটকে থাকা বিভিন্ন ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের উদ্ধার করেন তারা।
সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার পরপরই কাছাকাছি পাঠানপাড়া এলাকায় দুই দফা বিস্ফোরণ ঘটে।
প্রথম বিস্ফোরণে কয়েকজন আহত হওয়ার পর অভিযানস্থল থেকে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা দ্রুত পাঠানপাড়ায় ছুটে গেলে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে বলে আহত একজন জানান।
দুই দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হন, আহত হন র্যাব-পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ অন্তত ৪৩ জন।
এর মধ্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও মেজর আজাদ আহত হন দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণে।
ওসমানী মেডিকেলের চিকিৎসক অন্তর দীপ নন্দী জানান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল মুমূর্ষু অবস্থায়। তার সারা শরীরে স্প্লিন্টার ছিল।